মূল সার্ভারের গন্ডগোলে শনিবার সকালে টানা পাঁচ ঘণ্টা কার্যত অচল হয়ে রইল এয়ার ইন্ডিয়া। বিভিন্ন বিমান বন্দরে আটকে রইলেন শত শত যাত্রী। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, বিমান ছেড়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে। মুম্বই ও দিল্লি থেকে যাত্রীরা ভিড়ে ঠাসা এয়ারপোর্টের ছবিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আপাতত সার্ভার কাজ করছে। তা সত্ত্বেও এদিন কোনও কোনও বিমান দেরিতে চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত তিনটে নাগাদ সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। ফলে কোনও এয়ারপোর্টে যাত্রীদের বোর্ডিং পাস ইস্যু করা যায়নি। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি জানান, এখন সার্ভার স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। প্যাসেঞ্জারদের যে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে, সেজন্য আমরা দুঃখিত। তাঁর কথায়, আমরা চেষ্টা করছি যাতে সব বিমান যথাসময়ে চালানো যায়। কিন্তু কোনও কোনও উড়ানে কিছু দেরি হচ্ছে। মনে হয়, কোনও উড়ানেই দু’ঘণ্টার বেশি দেরি হবে না। এদিন ভোরে পুরো সিস্টেম বিগড়ে গিয়েছিল। এদিন বেলা পৌনে ন’টা নাগাদ সার্ভার স্বাভাবিক হয়।
এয়ার ইন্ডিয়ার সফটওয়ার সংক্রান্ত কাজ করে এসআইটিএ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। তাদের দেওয়া প্রযুক্তিতেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের চেক ইন, বোর্ডিং ও ব্যাগেজ ট্র্যাকিং করা হয়।
গায়ত্রী রঘুরাম নামে এক যাত্রী টুইটারে লিখেছেন, দেশ জুড়ে এসআইটিএ-র সফটওয়ার বিকল হয়ে গিয়েছে। শুধু মুম্বই বিমান বন্দরেই অপেক্ষা করছেন দু’হাজার যাত্রী। গায়ত্রী টুইটারে একটি ছবিও শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যায়, মুম্বই বিমান বন্দরের চেক ইন এরিয়ায় বহু যাত্রী অপেক্ষা করছেন।
ভাব্যশ্রী নামে আর এক যাত্রী টুইটারে লিখেছেন, তিন ঘণ্টা মুম্বই এয়ারপোর্টে আটকে আছি। এক কর্মীকে জিজ্ঞাসা করলাম, কখন প্লেন ছাড়বে। সে হেসে বলল, অব দেখতে হ্যায় কব আয়েগা।
মুম্বই বিমান বন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিপুল সংখ্যক যাত্রী ভিড় করে থাকায় অন্যান্য এয়ার লাইন্সের যাত্রীরাও সমস্যায় পড়েন। ভিড় ঠেলে যথাসময়ে বিমানে উঠতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আশঙ্কা দেখা যায়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ যাত্রীদের উদ্দেশে টুইট করে, আমরা সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এয়ারপোর্টে এসে হাজির হোন।