সম্প্রতি একাধিক সভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি মতো নেতার থেকে দূরে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৌলবাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে আসাদউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন এআইএমআইএমকে আক্রমণ করেন তিনি। এবার সেই মিম রাজ্যে শক্তি বাড়ানোর ইঙ্গিত দিতে চলেছে। জানুয়ারি মাসে ব্রিগেডে সমাবেশ করার তোড়জোড়ও শুরু করে দিয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল।
ওয়াইসির দল জানুয়ারির শুরুতেই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশ করতে চায়।
শুধু সমাবেশ করাই নয়, রাজ্যে পুরসভা নির্বাচনেরও প্রচারও শীঘ্রই শুরু করবে তারা। মিমের নেতারা বলছেন, জানুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশে ৮-১০ লক্ষ মানুষের জমায়েত করার লক্ষ্য নিয়েছে ওই দল। ব্রিগেডের সভা থেকেই পুর নির্বাচনের প্রচার শুরু করতে চায় মিম। ইতিমধ্যেই নাকি সংগঠনের কাজ অনেকটা সেরে ফেলেছেন তারা।
সংগঠনের রাজ্যস্তরের নেতা জামিরুল হাসান সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, “আমাদের দলের সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়াইসি কলকাতায় সমাবেশ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি।” হাসানের আরও দাবি, ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া ও দার্জিলিং ছাড়া রাজ্যের বাকি ২১ জেলার প্রায় সব ব্লকে সংগঠন তৈরি হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ১৫ হাজার।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মিম রাজ্যে শক্তিশালী হলে তৃণমূল কংগ্রেসের মুসলমান ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসাতে পারে। শেষ আদমসুমারি অনুযায়ী রাজ্যে ২৭.০১ শতাংশ মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে সংখ্যার বিচারে এগিয়ে মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুর। তবে জামিরুল হাসান মানতে নারাজ যে মিম মুসলমান ভোটের উপরেই মূলত নির্ভর করছে। তবে তাদের প্রচারে যে এই রাজ্যে মুসলমানদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ হচ্ছে সেটা গুরুত্ব পাবে তা জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই মিমকে ভয় পেতে শুরু করেছে শাসকদল। আর তাই ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে দলের নেতা, কর্মীদের।