বেশ কিছু যুবক হতে চায়নি ‘অগ্নিবীর’। এই সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করেই ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের বিরোধিতার জেরে ‘অগ্নিগর্ভ’ হিয় উঠল পুরো দেশ। আন্দোলনের এই ‘অগ্নিদৈত্যের’ আঁচ পৌঁছে গেছে বাংলার দরবারেও। এই আন্দোলনের ফলেই বিরাট বড়ো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার।
অগ্নিপথ’ প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কার্যত একজোট হয়ে মাঠে নেমেছে বিরোধীরা। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের যুবসমাজের জন্য এই প্রকল্প নতুন পথ খুলে দেবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। কিন্তু বিতর্ক থামেনি।
অগ্নিপথ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে যেখানে পুরো দেশ উত্তাল সেখান বহু শিল্পপতি এই অগ্নিপথ প্রকল্পকে সমর্থন জানালেন। একাধিক শিল্প সংস্থার তরফে দেওয়া হল অবসর প্রাপ্ত অগ্নিবীরদের জন্য চাকরির প্রস্তাব। যদিও, কোনো পদে নিযুক্ত করা হবে, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে, এই আন্দোলনের আবহে শিল্পপতিদের প্রতিশ্রুতি আন্দোলনের আগুনকে শান্ত করতে সাহায্য করবে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই সবের মাঝেই আবারও কেন্দ্রের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত। তিনি চলতি সপ্তাহে সোমবারে জানালেন যে, চলতি মাসেই তিনি অগ্নিপথ সামরিক নিয়োগ প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ শুরু করবেন।
অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘অগ্নিপথ আসলে বিজেপির ক্যাডার তৈরির প্রকল্প। এরাই ভোট লুট করতে সাহায্য করবে। পার্টি অফিসে পাহারা দেবে’। শুধু তাই নয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিজেপি গুন্ডা তৈরি করতে চাইছে বলেও তোপ দাগেন মমতা।
অগ্নিপথে যাঁদের নিয়োগ করা হবে তাঁদের চার বছর পর কী হবে সেই প্রশ্নও এদিন সদনে তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এঁদের তো বন্দুক চালানোর লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র তরুণদের স্থায়ী চাকরি দিলে আলাদা কথা। কিন্তু অগ্নিপথ আসলে চার বছরের ললিপপ।’ মমতার প্রশ্ন, ‘চার বছর পর তো এদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদন থাকবে। তার পর এরা কী করবে? বিজেপি কি তা হলে গুন্ডা বানাচ্ছে’ !
এর আগে রাজ্যে ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। সোমবারও তিনি বলেন, ‘এরাই বিজেপির ভোট লুট করবে। পার্টি অফিস পাহারা দেবে’। মুখ্যমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন তখন দেখা যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
চার বছরের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে সেনাবাহিনীতে তরুণদের নিয়োগের নতুন প্রকল্প সম্প্রতি ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। যা নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে। রবিবার থেকে দিল্লির যন্তর মন্তরে অগ্নিপথের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ শুরু করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতাও বিধানসভায় কেন্দ্রের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নীতির সমালোচনা করলেন।
মাহিন্দ্রা গ্রুপের তরফে করা হল বিশেষ ঘোষণা। এই ঘোষণা অনুযায়ী, অগ্নিবীররা চাকরি করে সুযোগ পাবেন শিল্প সংস্থা মাহিন্দ্রা গ্রুপে, তবে ৪ বছর অগ্নিবীররূপে কাজ করার পরে। অগ্নিপথকে কেন্দ্র করে যেখানে উত্তাল পুরো দেশ, সেখানে মাহিন্দ্রা গ্রুপের এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছে।
এই খবরটি প্রকাশ্যে আসে চলতি সপ্তাহে সোমবারে। এইদিন মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রা। তিনি নিউজ টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে জানান, “অগ্নিপথ প্রকল্পকে ঘিরে হিংসার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। গতবছর প্রকল্পের সূচনাপর্বেই আমার মনে হয়েছিল, সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ অগ্নিবীর অত্যন্ত প্রয়োজন। চাকরির উপযুক্ত তাঁরা। মহিন্দ্রা গ্রুপ এই প্রশিক্ষিত তরুণ অগ্নিবীরদের নিয়োগের এই সুযোগকে স্বাগত জানাচ্ছে”।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি তিনি সদস্য হয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার বোর্ডে। এই সদস্যপদ পাওয়ার পরই, তাঁর এই ঘোষণা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছে। যদিও, ৪ বছর ধরে কাজ করার পরে, তাঁরা ঠিক কোনো পদে মাহিন্দ্রা গ্রুপে চাকরি পাবেন, তা এখনও জানানো হয়নি মাহিন্দ্রা গ্রুপের তরফে।
কাংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রকল্পের বিরোধিতা করতে গিয়ে অদ্ভুত মন্তব্য করলেন কানহাইয়া কুমার। তাঁর প্রশ্ন, ‘অগ্নিবীরদের ৪ বছর পর অবসর হলে তাঁদের বিয়ে করবে কে’?
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ‘ডক্টর ডং’ (জিয়াং-ডিয়াং-ওয়াং) মনে করেন। আর আমরা জনগণ যেন খাঁচাবন্দি ইঁদুর! উনি যখন চান, ইঞ্জেকশন দেন। দেখেন, এ বার কতটা লাফ দেয়। তার পর পরীক্ষা করা হয়। আমি বিহার থেকে এসেছি। এমন একটি পরিবার থেকে এসেছি, যেখানে ১৫-১৬ জন সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। যুদ্ধের সময় আমার এক ভাই এবং এক আত্মীয় দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন’।
তিনি আরও বলেছেন, ‘বিজেপির নেতামন্ত্রীরা যেন স্টেশনের বাইরে ইঁদুর মারার ওষুধ বিক্রি করছেন! কেউ বলছেন এই বয়সে এত লক্ষ টাকা পাবেন, কেউ বলছেন এই সুবিধা পাবেন। তাই মন্ত্রীদের আগে বলতে হবে, এই প্রকল্পের প্রয়োজন কী? ’ কানহাইয়া কুমারের দাবি, ‘অগ্নিপথ প্রকল্প এদেশের যুব সমাজকে আগুনে নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা। সরকারের উচিত, এই প্রকল্প প্রত্যাহার করে নেওয়া’। তিনি বিহারের তরুণদের কাছে আবেদন করে বলেছেন, ‘আপনার-আমার করের টাকায় জাতীয় সম্পত্তিকে এ ভাবে নষ্ট করবেন না। গান্ধীর পথে আন্দোলন করুন’।
এর পর তাঁর সংযোজন, দেশে যখন সেনাবাহিনীতে নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, তখন সেই প্রক্রিয়া বন্ধ করে এই নতুন প্রকল্প আনার কারণ কী! মোদী সরকারের সমালোচনা করে কানহাইয়ার দাবি, ‘অগ্নিপথ প্রকল্প এদেশের যুব সমাজকে আগুনে নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা। সরকারের উচিত, এই প্রকল্প প্রত্যাহার করা।’
অগ্নিপথ প্রকল্পে সেনাদের পেনশন নিয়ে যে কংগ্রেস আজ কাঁদছে, ভারতীয় সেনাদের সবচেয়ে বড় ধোঁকা তাঁদের থেকে বেশী কেউ দেয়নি l 42 এর আন্দোলন থেকে 47 এর স্বাধীনতার পাঁচ বছর, যাকে আমাদের ইতিহাসের এক গৌরাবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত করে এসেছি, সেই আলোর নিচে কত বড় অন্ধকার আছে এবং সেই পাঁচ ছয় বছরের ইতিহাস কত বড় বেইমানি ও ধোঁকার তা তখনকার কিছু ঘটনাকে জুড়লেই পাবো l 42 এ গান্ধী ভারত ছাড়ো আন্দোলন ডাকলেন এবং বহু জাতীয়তাবাদী মানুষ তাকে বিশ্বাস করে রাস্তায় নামলেন l মাতঙ্গিনীদেবীর মত বহু দেশপ্রেমীক মারাও গেলেন l. কিন্তু এই আন্দোলনের পরে কংগ্রেস ঠিক করলো ভারতীয়রা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মত ব্রিটিশদের সাহায্য করবে l অনেকটা আজকের সিপিএম তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করলো, কিন্তু ভোটের আগে Lesser evil তত্ব খাড়া করে ক্যাডারদের বলল, সেই তৃণমূলকেই ভোট দিতে, সেই রকম l বহু ভারতীয় ব্রিটিশ সেনায় ভর্তি হল এই ভেবে যে এটা একটা স্থায়ী চাকরি l বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয় নৌসেনা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে l তাঁদের প্রায় 80 থেকে 100 নৌজাহাজ সিঙ্গাপুর থেকে মধ্যপ্রাচ্য পাহাড়া দিচ্ছিল, যা জাপানের সঙ্গে জার্মানি ও ইটালিকে আলাদা করে রাখে l সেই জন্যই নেতাজীকে সাবমেরিনে জার্মানি থেকে জাপানে আসতে হয়, ওঁদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে l পথে যে ব্রিটিশ নৌজাহাজ নেতাজীরা ধংস করেন, হয়তো সেখানে ভারতীয়রাই মারা যান l এই সময় বাংলায় এক ভয়ঙ্কর দুর্ভিক্ষ হয় l সেনাকে খাওয়ানোর জন্য তৎকালীন বাংলার প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন বাংলার সব খাবার পাঠিয়ে দেয় ব্রিটেনে l সদ্য ভারতছাড়ো আন্দোলন করা কংগ্রেসের নেতারা মুখের কুলুপ এঁটে ছিলেন l নেতাজী সাহায্য করার চেষ্টা করলেও, সেটা নিতে অস্বীকার করে গান্ধী নেহেরু l মারা যায় 30 লক্ষ ভারতীয় l.
দুই বছর পরে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হারা আজাদ হিন্দ বাহিনীর বিচার শুরু হলে, এই নৌবাহিনীর মধ্যে অসন্তোষ শুরু হয় l কারণ তাঁদের অনেকেই ভাই বন্ধুরা সেখানে ছিল l ব্রিটিশরা চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধ যোগ দেবার জন্য ভারতকে প্রচুর অর্থ দিতে রাজি হলেও, এতবড়ো বাহিনীর মাইনে এবং পেনশনের হাত থেকে মুক্তি চায় l কারণ অদূর ভবিষ্যতে আর যুদ্ধ নেই l ছাটাই শুরু হতেই, শুরু হয় নৌবিদ্রোহ l ব্রিটিশ সরকার কংগ্রেসকে বলে বোম্বেতে নৌবিদ্রোহীদের সঙ্গে কথা বলতে l কংগ্রেস তাঁদের বোঝায় যে তারা বিদ্রোহ. বন্ধ করলে তাদের এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের সৈন্যদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়া হবে না l ব্রিটিশ দেশ ছেড়ে গেলে কংগ্রেসই ক্ষমতায় আসবে এবং সব ঠিক হয়ে যাবে l নৌবিদ্রোহ বন্ধ হয়ে যায় l কিন্তু এর পরেই আজাদ হিন্দ ফৌজের 3000 সৈন্যকে জালিয়ানবাগের থেকেও নৃশংসভাবে ব্যারাকপুরের কাছে নীলগঞ্জে হত্যা করা হয় বিনা বিচারে l সঙ্গে কোর্ট মার্শাল হয় নৌসেনার বিদ্রোহীদের যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান এবং জার্মানিকে এক হতে দেয় নি l
দেশ স্বাধীন হলে ব্রিটিশ সরকার বহু টাকা দেয় নেহেরুর সরকারকে l কিন্তু কোন পেনশন পায়নি নৌবিদ্রোহীরা l গান্ধী পাকিস্তানকে টাকা দিতে বললেও, নির্বাক থাকেন এই সেনাদের দাবি নিয়ে l বহু নৌবিদ্রোহী নিরুদ্দেশ হয়ে যায় l ইতিহাসের পাতা থেকে তাঁদের মুছে দেয়া হয় তাঁদের, যেমন মুছে দেয়া হয় নেতাজীকে l
এরপরে এডিট করা ইতিহাসে আমাদের শেখানো হয় কংগ্রেসের আত্মত্যাগে দেশ স্বাধীন হয়েছে l স্বাধীনতা এনে দিয়েছে 42 এর আন্দোলন l যাদের কাছে জেল খাটা মানে রাজপ্রাসাদে বন্দি হয়ে মেয়েকে চিঠি লেখা, তারা 26 বছর সেলুলার জেলে বন্দি থেকে ছাড়া পাওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামীর দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদেরই এডিট করা ইতিহাস বইয়ের পাতার উপর ভিত্তি করে l তবে চিন্তা নেই, সত্য সামনে আসবে l অগ্নিপথও এগিয়ে যাবে l
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় যথার্থই লিখেছেন
নিজের কথা তুলে বলি। আমি সতেরো বছর বয়সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসি এবং কলা বিভাগে সেকেন্ড ডিভিশন পাই। সে সময় যদি এই অগ্নিবীর হওয়ার উপায় আমার সামনে আসত, চোখ বন্ধ করে নিয়ে নিতাম।
আসেনি।
পরে, পেশাসূত্রে বিদেশে গিয়ে দেখলাম, প্রায় প্রতিটি উন্নত দেশে এই উদ্যম চালু। কোথাও সতেরো থেকে উনিশ, কোথাও সতেরো থেকে একুশ। মোট কথা দেশের জন্য প্রতিটি মানুষকে জীবনের কিছুটা সময় দিতে হবে।
ওই বয়সটা শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা এবং স্বজাতিপ্রীতি শিক্ষার সময়। ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশ্বে তৃতীয়। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ভারতবর্ষে কোনো সেনা অভ্যুত্থান হয় নি। অর্থাৎ তারা রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও মর্যাদা রক্ষার দৃঢ় সঙ্কল্পে প্রতিষ্ঠিত।
যে বা যারা এই দেশকে নিজের দেশ বলে মর্যাদা দেন, তাঁর কাছে অবশ্যই অগ্নিবীর প্রকল্পটি সুবর্ণ সুযোগ বলেই মনে হওয়ার কথা। তারুণ্যের শক্তিতে ও সংখ্যায় বিশ্বের বহু দেশের অনুপাতে আমরা এগিয়ে।
এই শক্তিকে দেশের একত্রীকরণের ও সমাজকে শৃঙ্খলার মধ্যে গড়ে তোলার কাজে লাগাবার সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা হলো এই অগ্নিবীর। বিশেষ করে, লক্ষ্যহীন, দিশাহীন, অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে শূণ্য চোখে তাকিয়ে থাকা অসহায় বাঙ্গালী তরুণ সমাজের জন্য।
সমাজে অ্যানার্কি তৈরী করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা লোটে, সেইসব অপরাজনীতির লোকজনের কথায় বিভ্রান্ত না হওয়া এখন সকলের কাম্য। এরা স্বজাতিদ্রোহী। কৃষি বিলের ক্ষেত্রে সেটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। সব্জির দাম বেড়েছে বই কমেনি। কৃষক কিছুই পাচ্ছেন না। ফড়ে আর দালালের দল সব লুটেপুটে নিচ্ছে।
তরুণদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ, এই সুযোগ। নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠা করার। এই সুযোগ, অনিশ্চিত ভবিষ্যতকে বুড়ো আঙুল দেখানোর। এই সুযোগ, আগামী দিনগুলোতে নিজের সামাজিক ও পারিবারিক সম্মান সুনিশ্চিত করার। সেইসঙ্গে দেশের প্রতি নিজের বোধ জাগ্রত করারও।
জেনে রাখুন, গোটা দেশের জন্য, দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য মঙ্গলজনক কোনো উদ্যোগে বাধা দিতে যারা এগিয়ে আসে, তারা আর যা ই হোক, দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নের বিরুদ্ধে।
আর, তারা আসলে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বিপদজনক।
এদের উস্কানিতে কান দেবেন না!
দেখছেন তো, অপরাজনীতি আজ কোথায় নিয়ে গেছে আপনার প্রিয় রাজ্যটাকে?