সোমবার “সংকল্প পত্র” এর নামে ভারতীয় জনতা পার্টির নিজস্ব ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে বিজেপি পার্টি দেশের এর সম্পূর্ণ উন্নয়নের জন্য অনেক প্রস্তাবনা জনগণের সামনে নিয়ে এসেছে। বিজেপির দিক থেকে করা এই প্রতিশ্রুতির জন্য রাজনৈতিক বাজার আরো একবার গরম হয়ে উঠেছে। তবে এই বারের প্রস্তাবের সমস্যাটি হ’ল নিকা হালাল এর প্রথা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি। বিজেপি পার্টি পরিষ্কার ভাষায় যে, যদি এই বার নির্বাচনে জনসাধারণের দ্বারা তার দলকে নির্বাচিত করা হয়, তাহলে তার দল নিকা হালাল এর প্রথা নিষিদ্ধ করার জন্য আইন নিয়ে আসবে।
জানিয়ে দি, নিকাহ হালালা একটা বর্বর প্রথা। আধুনিক যুগে এই প্রথা নারী নির্যাতন ছাড়া আর কিছুই নয় এটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মোদির সরকার এর পক্ষ থেকে এ রকম এক বড়ো সিদ্ধান্ত তিন তালাক প্রথা বিরুদ্ধেও আগে গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে তিন তালাক দেবার জন্য স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
যদিও লোকসভায় বহুমত মিলিত হওয়ার পরে, সরকারে রাজ্যে সংসদ এই বিল সম্পর্কিত বহুমত ছিল না।অনেক মুসলিম নারীর এই বিল এবং সরকার এই প্রচেষ্টার জন্য সরকারের প্রশংসা করেছিল। তবে অন্যদিকে এর বিপরীতে অনেক মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে মোদির সরকার তিন তালাক বিলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল।
সেই সময় তেই এটা স্পষ্ট বোঝা গেছিল যে, মুসলিম সংগঠনগুলি তাদের ব্যক্তিগত বিষয় এবং আইন পদ্ধতির মধ্যবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কোন হস্তক্ষেপ বা কোন নতুন আইন চায় না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মুসলিম নারীর হিত এবং লিঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করার জন্য এই প্রস্তাবটি সবার সামনে রেখেছিলেন।নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় দায়বদ্ধতা ভেবে রেখেছেন এবং চিত্রের সাথে উত্থাপিত করেছেন। তবুও ভারতীয় জনতা পার্টির দ্বারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কথাগুলি কতটা পূর্ণ হ’ল, তা ২৩ মে আগামী নির্বাচনী ফলাফলের পর থেকে জানা যাবে।