কাশ্মীর ফাইলসের পর এবার হায়দ্রাবাদের নিজামের অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা। নাম ‘রাজাকার’। নিজামের খুনি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর নাম ছিল রাজাকার, যারা হায়দ্রাবাদকে পাকিস্তানের অংশ করতে অস্ত্র হাতে ময়দানে নামে এবং বিরোধীদের হত্যা করে।
রাজাকার, আল বদল বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক বেশি চালু কথা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের তৈরি এই দুই বাহিনী মুক্তিকামী মানুষের বিরোধিতায় সক্রিয় ভূমিকা নেয়। তারা স্বাধীনতার লড়াইয়ের বিরোধিতার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের নির্বিচারে হত্যা, মহিলাদের ধর্ষণের মতো অপরাধ সংঘঠিত করে। বাংলাদেশের বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের বিচারের পর তাদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। বাংলাদেশে রাজাকারদের অত্যাচারের কাহিনি নিয়ে অসংখ্য নাটক, সিনেমা, টিভি সিরিয়াল আছে।
বাদ যাচ্ছে না বাংলাও। রাজ্য বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক প্রখ্যাত অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ জানান, বাংলার ‘৪৬-এর দাঙ্গা এবং সেই দাঙ্গায় হিন্দুদের রক্ষাকারী গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠাকে নিয়ে গবেষণা চলছে। আগামী বছরেই একটি ফিচার ফিল্ম তৈরির কাজ শুরুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা। দাঙ্গার রেশ বেশি ছিল কলকাতা এবং নোয়াখালিতে। দু’ জায়গাতেই দাঙ্গা থামাতে ছুটে যান মহাত্মা গান্ধী।