ছোট বয়সে তেমন পাঠ্যপুস্তকই পড়িনি সেক্ষেত্রে গল্পের বইয়ের প্রসঙ্গই আসেনা।তাছাড়া আমি রিডিং করে পড়া শিখি তৃতীয় শ্রেণী থেকে। তার আগে হতো কি মা পড়িয়ে দিতেন আমি মূখস্ত করে নিতাম। এর ফলে মুখস্ত করা বিষয় এখনো ভুলিনি।তবে কিশোর বয়সে কিছু গল্পের বই পড়েছি, বিশেষ করে সত্যজিৎ রায়,উপেন্দ্রকিশোর বা সুকুমার রায়ের লেখা, তাছাড়া সচিত্র রামায়ণ, মহাভারত,চাঁদমামা আর কিছু শিশুসাহিত্য। ব্যোমকেশের সঙ্গে সাহিত্যগত পরিচয় হয় দশম শ্রেণীতে ” লোহার বিস্কুটের মাধ্যমে।”
গল্পের বই পড়ার অভ্যাস হয় মাধ্যমিকে পরে।দিদি কলেজে উঠে উলুবেড়িয়াতে আনন্দম নামে একটি লাইব্রেরির সদস্য হয় ওর কার্ডে প্রচুর বই পড়েছি।
সঠিকভাবে বলতে পারবোনা তবে এইরকমই কিশোর কালেই স্বপন কুমারের লেখা দীপক চ্যাটার্জি ও রতনলাল সিরিজ কিছু পড়ে ছিলাম। তাতে দীপক চ্যাটার্জির লোমহর্ষক অভিযানের বিবরণ দিতে গিয়ে লেখক লিখেছিলেন “এক হাতে উদ্যত পিস্তল, অন্য হাতে জ্বলন্ত টর্চ, দীপক চ্যাটার্জি পাঁচতলা হইতে জলের পাইপ বাহিয়া বিদ্যুৎ – গতিতে নীচে নামিয়া গেল।’’ব্যাপারটা সেই সময় অনুধাবন করতে পারিনি, যখন বুঝেছিলাম তখন নিজের মনে খুব হেসেছিলাম। এই সাহিত্য রচনাকে মূলত বটতলা সাহিত্য বলে বা চটিসাহিত্য যার সাহেবিয়ানা নাম পাল্প ফিকশন।
যাইহোক জীবনের এতোদিন পর বুঝতে পারলাম আমি বলদের মতো হেসে ছিলাম, কারণ সংবাদমাধ্যম আজ প্রমাণ করেছে যে এই জগতে এমন অনেককিছু ঘটনা ঘটে যা আমার মতো নির্বোধের বোধের বাইরে।