নোয়াখালীর পর কি এবার সিলেটের হিন্দুরা জেহাদিদের পরবর্তী টার্গেট? হিন্দু হত্যা রোধে ব্যর্থ বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ বাড়লো

অবিভক্ত ভারতের সিলেট জেলাকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ‘সুন্দরী শ্রীভূমি’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। ওই জেলার হিন্দুদের চিন্তন মননের প্রতি ছিল কবির শ্রদ্ধা।
বাংলা ভাগের পর ঘটে অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন। হিন্দুরা প্রধানত বিতাড়িত হন, বাকিদের হত্যা করে ও ধর্মান্তরিত করে জেহাদিরা।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে যে আক্রমণের ধারা ছিল তা এখন ও যে শুধু অব্যাহত তা নয়, তীব্রতা বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংখ্যালঘু হিন্দু ছাড়াও আক্রান্ত হন এলাকার বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টানরাও। সম্প্রতি দূর্গা পুজোর সময় নোয়াখালী ও কুমিল্লার সাথে সিলেটেও হিন্দুদের উপর বর্বরোচিত আক্রমণ সংগঠিত হয়।

সম্প্রতি গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে সিলেটের উপরে বড়ো ধরণের হামলা সংগঠিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশে ও বিদেশে সমালোচনায় পরে কোনঠাসা বাংলাদেশ সরকার ক্রমবর্ধমান জেহাদের সাথে লড়াই চালানোর জন্য কিছু বিশেষ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সব মিলিয়ে ৩০০০ পুলিশের একটি শক্তিশালী কম্ব্যাট ফোর্স তৈরী করা হয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে সিলেট শহরে তিনটি নতুন থানা তৈরী করা হচ্ছে।

শুধু তিনটি পুলিশ স্টেশন বা ফাঁড়িই নয় , এই এলাকায় তৈরী করা হয়েছে তিনটি ইনভেস্টিগেটিভ সেন্টার (Investigative centre) ও বাড়তি সাতটি পুলিশ আউট পোস্টও।
সূত্রের খবর, অনেক ক্ষেত্রেই এই সব উদ্যোগ নিয়ে সরকার মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে প্রচার করে থাকে। দূর্গা পুজোর আগে গোয়েন্দা বিভাগের কাছে খবর ছিল হিন্দুদের উপর আক্রমণের কিন্তু তা রোধ করতে পারে নি সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.