কেরালার পর এবার দক্ষিণ ভারতে জঙ্গিদের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে তামিলনাড়ু, একের পর এক হানা দিয়ে চলেছে এন আই এ।
তামিলনাড়ুর জনগণ যা কোনোদিন কল্পনাও করেনি , আজ তাই হচ্ছে।
কেরালার ক্রমবর্ধমান জেহাদি কার্যকলাপের নিরিখে ওই রাজ্যকে অনেকে ‘দক্ষিণের কাশ্মীর’ বলা শুরু করেছে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ক্রমশ সেই পথেই হাটছে তামিলনাড়ু।
গত পরশুদিন এন আই এ হানা দিয়ে থেনি জেলা থেকে গ্রেফতার করে এক জিহাদি দম্পতিকে যারা গোপনে জামাতের হয়ে বহুদিন ধরে কাজ করছিলো।
তাদের যায় থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর স্পর্শকাতর ও আপত্তিকর ডি ভি ডি, পেন ড্রাইভ ও জেহাদি লিফলেট ও কাগজপত্র।
কিন্তু তার চাইতে ও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো এই যে ইউসুফ আলমের যার আসল নাম ছিল উদয় কুমার এবং তাকে বেশ কয়েক বছর আগে পারভীন (বর্তমানে তার স্ত্রী) লাভ জেহাদে ফাঁসায় ও বিয়ে করে। শুধু তাই নয়, জেহাদের মন্ত্রে দীক্ষিত করে জামাতের হয়ে কাজ করতে নামায়।
ওই দুই জেহাদি যুগলকে ধরে ক্ষান্ত নয় এন আই এ। তিরুনেলভেলি, থাঞ্জাভুর ও মাদুরাই জেলাতেও জঙ্গি দমনে হানা দিয়ে চলেছে করে এন আই এ।
থেনি থেকে এবার ধরা পড়েছে আব্দুল্লা নামের এক জঙ্গি। এছাড়া বাকি তিন জায়গায় হানা দিয়ে আরো দুইজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এন আই এ। জঙ্গিরা লস্করে মুস্তাফার (Lashka-এ- Mustafa )সদস্য বলে জানা গিয়েছে। লস্করে মুস্তাফা আদতে লস্করে তাইবার একটি শাখা বলে জানা গিয়েছে যারা এই মুহূর্তে দক্ষিণ ভারতে খুব তৎপর।
বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে প্রচুর অতি স্পর্শকাতর ডিজিটাল ডিভাইস , ডি ভি ডি, পেন ড্রাইভ , ইসলামিক স্টেটের ডকুমেন্ট এর অনেক প্রিন্ট আউট , মোবাইল ফোন , হার্ড ডিস্ক , মেমোরি কার্ড, ল্যাপটপ ও বুকলেট পাওয়া গিয়েছে।
এন আই এ কর্তাদের মতে এইপর্য্যন্ত সন্ত্রাসের বড়ো শাখার একটি সামান্য অংশের রহস্যোদ্ঘাটন করা গেলো মাত্র। সন্ত্রাসের শিকড় অনেক গভীরে চলে গিয়েছে তামিলনাড়ুতে যা আগামী দিনে একটি ভয়ঙ্কর রূপ নিতে চলেছে।