হুঁশিয়ার করেছিল ভারত৷ বলা হয়েছিল, ভারত বিরোধী কথা বলা হলে, কাশ্মীর নিয়ে ভুল তথ্য বা উস্কানিমূলক বার্তা দেওয়া হলে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ সেই মর্মে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারের কাছে বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্ট নিয়ে নালিশও জানানো হয়৷ প্রাথমিকভাবে ৭-৮টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পরে, এবার আরও কড়া হল ট্যুইটার৷
জানানো হয়েছে কাশ্মীর ইস্যুতে অনর্থক উস্কানিমূলক কথা ছড়ানো বা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রাখার অভিযোগে পাকিস্তানের ২০০টি ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছে পাকিস্তান সরকার৷ সরকারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ২০০টি অ্যাকাউন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ মূলত এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কাশ্মীর নিয়ে তথ্য দেওয়া হচ্ছিল, এমনই জানিয়েছে দ্য ডন নিউজ৷
পাকিস্তানি সাংবাদিক, সমাজকর্মী ও সরকারি আধিকারিকদের অ্যাকাউন্ট এর মধ্যে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এরা পাকিস্তান সরকারের হয়ে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছিলেন৷ #StopSuspendingPakistanis আপাতত পাকিস্তানে এই হ্যাশট্যাগটিই ট্রেণ্ডিং বলে খবর৷
রবিবারই, আইএসপিআর বা ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের ডিজি মেজর জেনারেল আসিফ গাফুর জানান, এই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
এর আগে, ভারতের তরফ থেকে বলা হয়েছিল ট্যুইটার ব্যবহারকারীরা সাবধান৷ কোনও অ্যাকাউন্টে কাশ্মীর নিয়ে আপত্তিকর কিছু দেখলেই তা বন্ধ করে দেওয়া হবে৷ এই মর্মে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনও জানায় কেন্দ্র৷ ট্যুইটারের ৭-৮টি অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করা হয়, যেগুলি থেকে কাশ্মীর বিরোধী মন্তব্য ও তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে কেন্দ্রের অভিযোগ ছিল৷
এই ৭-৮টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র৷ ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়৷ দ্য হিন্দু সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে এমনই জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক৷
যে অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেগুলি হল, @kashmir787 (Voice of Kashmir), @Red4Kashmir (Madiha Shakil Khan), @arsched (Arshad Sharif), @mscully94 (Mary Scully), @sageelaniii (Syed Ali Geelani), @sadaf2k197, @RiazKha61370907, and @RiazKha723
ট্যুইটারে কাশ্মীর সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে এই মর্মে চিঠি পাঠায় জম্মু কাশ্মীর পুলিশ৷ তারপর থেকেই বিষয়টি তদন্তে নামে মন্ত্রক৷