৩৭০ ধারা অপসারণ করে প্রমাণ করলো ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নেই স্বাধীনতা,আন্তর্জাতিক মঞ্চে বড় কূটনৈতিক জয় ভারতের

জম্মু ও কাশ্মীর সহ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সমাজ কর্মী ও সাংবাদিকরা ৩৭০ ধারা অপসারণের ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও অনেক ইউরোপীয় সংসদ সদস্য এবং বিদেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) ৪৩ তম অধিবেশন শেষে জেনেভা প্রেসক্লাবে ‘জম্মু ও কাশ্মীর: শিফটিং ফ্যাক্ট ফর্ম ফিকশন’ বিষয়ক একটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ।

অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্তন সদস্য নাথন গিল বলেন, “এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এটি একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ এবং এটি কাশ্মীরের জনগণকে সাম্যের অধিকার প্রদান করেছে।” কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটি নতুন ভোরের সূচনা প্রদান করছে এবং এর নাগরিকরা এখন অন্যান্য ভারতীয় নাগরিকের সঙ্গে সমানাধিকার লাভ করেছে ।

এই সিদ্ধান্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরর বাসিন্দাদের ভারতীয়দের মতো আরও অধিকারলাভের দাবিতে অনুপ্রাণিত করেছে । উপত্যকার সমাজ কর্মী সৈয়দ তাহমিনা বলেন যে ৩৭০ ধারা শেষ হওয়ার পরে উপত্যকার মহিলারা তাদের অধিকারের সুযোগ নিতে পারবেন ।

জেনেভায় সিন্ধ বালুচ ও পাশতুন দের রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের সামনে পাকিস্তানের কার্য্যকলাপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন

কাশ্মীরের বাইরে বিবাহিত একটি মেয়ে আর তার সম্পত্তির অধিকার হারাবে না। অতীতে এই জাতীয় মহিলা এবং তাদের সন্তানদের কাশ্মীরে সম্পত্তি কেনার অধিকার ছিল না। তবে এখন তারা জমি এবং বাড়ি কিনতে পারবে ।

পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে থেকে আগত জেকেএনএএপি সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জা রাজা বলেছিলেন যে জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু অংশ পাকিস্তান দখল করেছে। ইসলামাবাদের তরফ থেকে এটিকে আজাদ বা ফ্রি কাশ্মীর বলা হলেও এটি নিখুঁত কল্পকাহিনী। আমি সেই জায়গার অধিবাসী ছিলাম, বাসিন্দাদের যেখানে কোনও স্বাধীনতা নেই। আমাদের সাংবিধানিক, আইনী, ধর্মীয় এবং সামাজিক অধিকার নেই। তবে সমস্ত নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনরা সেখানে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছে বলে ওই মঞ্চে দাবী করেন তিনি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.