প্রত্যাশিত ভাবেই কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সুফল নিয়ে মতামত রাখলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি কাশ্মীর ছাড়াও দেশের রাজস্ব, বাণিজ্য, মহিলাদের উন্নয়ন, পরিকাঠামোর বিস্তার ইত্যাদি নিয়েও তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের মানুষ এ বার প্রকৃত অর্থেই সমানাধিকার, সমান সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এই ধারা বাতিল ও রাজ্যটির দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হওয়ার ফলে সেখানকার মানুষ উপকৃত হবেন।
দেশের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ থেকে মুক্তির জন্য যে সব অসংখ্য স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের অবদান দেশবাসীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে মনে রাখা উচিত। নাগরিক, জনপ্রতিনিধি ও সরকারের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার ভিত্তিতেই তৈরি হয় দেশ। .
মহিলাদের সামাজিক অবস্থান ও সামগ্রিক উন্নয়ন ছাড়া যে কোনও উন্নয়নই অর্থহীন বলে মন্তব্য করেন কোবিন্দ। তিনি বলেন, পানীয় জল ও শৌচাগার সকলের ঘরে পৌঁছনো তখনই তাৎপর্য পাবে, যখন নারীর ক্ষমতায়ন সম্পূর্ণ হবে। তাঁরা প্রকৃত সম্মান পাবেন। মহিলারা যখন মা ও পরিবারের প্রধান দেখভালকারী হিসেবে তাঁদের ভূমিকার পাশাপাশি পেশার জগতে নিজেদের ইচ্ছা পূরণ করতে পারবেন, নিজেদের উচ্চাকাঙ্খা পূর্ণ করতে, নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করার সুযোগ পাবেন–তখনই উন্নয়ন সম্পূর্ণ হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, রাজস্ব সংস্কার ও সহজ নিয়মকানুনের প্রকৃত উপযোগিতা তখনই হবে, যখন দেশের শিল্পপতি, ছোট-বড়-মাঝারি শিল্পোদ্যোগীরা কর্মসংস্থান করতে পারবেন। সরকারের যেমন নিজের দায়িত্ব আছে, ভারতের ১৩০ কোটি দেশবাসীকেও নিজেদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা, মেধা দিয়ে নানা সুযোগ তৈরি করতে হবে।
কৃষকরা যখন সড়ক ব্যবহার করে বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে যেতে পারবেন, ও সঠিক মূল্য পাবেন. তখনই গ্রামীণ রাস্তা ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার সঠিক উপযোগিতা হয়েছে বলে দাবি করা যাবে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। সব ভারতবাসীর স্বপ্ন এক, তা হলো উন্নয়নে গতি আসা ও স্বচ্ছ প্রশাসন। ভারতবাসীর এই ভাবনা ও বার্তা বুঝে সেই পথে চলা দেশের নীতি নির্ধারণ যাঁরা করেন তাঁদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।