( Old post )
একটা কথা মনে রাখতে হবে। মুসলমানরা যুদ্ধ শুরু করবে না। ওরা তো বিনা যুদ্ধে ভারত দখল করছে, part by part, সুতরাং ওদের তো যুদ্ধ শুরু করার কোন দরকার নেই। মহাভারতেও কৌরবরা যুদ্ধ শুরু করেনি। পান্ডবদেরকে যুদ্ধ শুরু করতে হয়েছিল, নিজেদের রাজ্য পুনরুদ্ধারের জন্য। বর্তমানেও হিন্দুদের দায়িত্ব যুদ্ধ শুরু করার নিজের মাটি বাঁচানোর জন্য।
দ্বিতীয় বিশ্ব মহাযুদ্ধেও হিটলার যুদ্ধ শুরু করেনি। হিটলারের নেতৃত্বে জার্মানী এগিয়ে গিয়ে পোল্যান্ড দখল করেছিল। তখন ফ্রান্স ও ব্রিটেন জার্মানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এখানে লক্ষ্যণীয় যে, জার্মানী কিন্তু তখনো ফ্রান্স বা ব্রিটেন আক্রমণ করেনি। তবু জার্মানীর মনোভাব বুঝে ফ্রান্স ও ব্রিটেন অপেক্ষা করেনি জার্মানীর আক্রমণ করা পর্যন্ত। এটাই তো স্বাভাবিক। আমরা হিন্দুরা এক মানসিক পঙ্গু ও শারীরিক অথর্ব জাতির মত অপেক্ষা করে আছি। মুসলিমরা ভারতের এক-তৃতীয়াংশ জমি কেটে নিয়ে পাকিস্তান করল। তারপর কাশ্মীর দখল করল। তারপর একের পর এক জেলা মুসলিম মেজরিটি করে সেখানে defacto ইসলামিক শাসন স্থাপন করেছে। ভারতের বহু জেলা – মুর্শিদাবাদ, মালাপ্পুরম, ধুবড়ি ইত্যাদি, তাছাড়াও বহু স্থানে (ব্লক ও মহকুমা) হিন্দুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তবু আমরা অপেক্ষা করছি, আমাদের গ্রামে নয়, আমাদের শহরে নয়, আমাদের পাড়ায় কখন মোল্লারা আক্রমণ করবে, তখন আমরা প্রস্তুতি শুরু করবো। যখন জামিয়া মিলিয়া, শাহীন বাগ হবে তখন খাজুরি খাস, ভজনপুরা চুপ থাকবে। যখন ভজনপুরা হবে, তখন দক্ষিণ দিল্লী চুপ থাকবে। শুধু দক্ষিণ দিল্লী কেন, গোটা দিল্লী, পুরো দেশ চুপ থাকবে। সবাই অপেক্ষা করবে কখন তার পাড়ায় যুদ্ধ শুরু হবে। কেন হবে?
যুদ্ধ করা তো মুসলমানের কাজ নয়। ওদের কাজ তো দখল করা। ওরা তাই করছে। বিনা যুদ্ধে দখল করছে। তাহলে যুদ্ধ করা কার কাজ? আমরা বসে আছি, অপেক্ষা করছি। ফ্রান্স ও ব্রিটেন কিন্তু অপেক্ষা করেনি। বিপদ আসন্ন দেখে তারা এগিয়ে গিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছিল।
আমাদের পাশে মায়ানমার দেখুন। রোহিঙ্গারা সেখানে কোন যুদ্ধ শুরু করেনি। তারা শুধু সংখ্যা বাড়াচ্ছিল, মসজিদ করছিল, নামাজ পড়ছিল, আর expand করছিল। যুদ্ধ করছিল না। যুদ্ধ তো মায়ানমারের বৌদ্ধদেরকে শুরু করতে হল, নিজের দেশ জাতি ও ধর্ম বাঁচাতে। তারা কিন্তু যুদ্ধ শুরু করার আগে কোন world alliance তৈরী করার কথা ভাবেনি।
যে কথাগুলো বললাম, হিন্দু সমাজকে সেগুলো ভাবতে হবে। মুসলমানরা কবে দাঙ্গাইয়া হবে, কবে দাঙ্গা শুরু করবে, সেজন্য বসে থাকলে খেলা শেষ।