খবরের কাগজ কিভাবে মিথ্যে প্রচার করে তার একটা ছোট্ট উদাহরণ ।বর্তমান এই রিপোর্টটা করল কেন ? একটা ভুল, সম্পূর্ন মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দিল কেন ?

খবরের কাগজ কিভাবে মিথ্যে প্রচার করে তার একটা ছোট্ট উদাহরণ । নীচের ছবিটি ৩ রা সেপ্টেম্বর, বর্তমানের কলকাতার পাতার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রচারিত সংবাদ ।
বর্তমানের রিপোর্টার রাজু চক্রবর্তী লিখেছেন সংবাদটি ।
কি লেখা হয়েছে তাতে ? একটু পড়ি ।
” বে সরকারি বাস- মিনিবাসে ইচ্ছেমত বাড়তি ভাড়া আদায়ে রাশ টানতে এবার যাত্রী সেজে হানা দেবেন পরিবহন দপ্তরের পরিদর্শকরা । মোটর ভেহিকেলসের ৬০০ এম ভি আই বিনা নোটিশে আচমকাই যাত্রী সেজে বাসে উঠে পড়বেন । নির্দিষ্ট দূরত্বের টিকিট কাটবেন । ভাড়া আদায়ে অনিয়ম দেখলে সংশ্লিষ্ট বাসের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেবেন । অনিয়ম ধরা পড়লে সেই বাসের মালিককে জরিমানা করা হবে । প্রয়োজনে বাসের পারমিটও বাতিল করা হতেও পারে । “

আপনি পাঠক হলে খবরটা পড়ে আপনার reaction কি হতে পারে ? আপনি ভাববেন দেখ সরকার কি জনদরদী । আমাদের জন্য কত ভাবে । বাস মালিকরা অন্যায় করলে কঠোর হচ্ছে সরকার । তাই তো ?

রিপোর্টটি বেরিয়েছে বর্তমান পত্রিকায় ৩ রা সেপ্টেম্বর । (ছবিটি নীচে দিলাম )। গতকাল ৮ ই সেপ্টেম্বর রিপাবলিক বাংলা পরিবহন দফতরের মন্ত্রী ববি হাকিমকে আচমকাই অন ক্যামেরা প্রশ্ন করে ,- কবে থেকে নামছেন এই ৬০০ এম ভি আইরা ? প্রশ্নটা শুনে বিড়ম্বিত ববি হাকিম হোঁচট খেয়ে বলেন না না এরকম কোন সম্ভবনা নেই । ( লিংক টা আমার কাছে আছে )

তাহলে বর্তমান এই রিপোর্টটা করল কেন ? একটা ভুল, সম্পূর্ন মিথ্যে তথ্য ছড়িয়ে দিল কেন ?

উত্তর পরিষ্কার

১. প্রথমত খবরটা কালীঘাট, নবান্ন অথবা তোপসিয়া ভবন থেকেই ছড়ানো হল বর্তমানকে দিয়ে । লোকে ধন্যি ধন্যি করল । সরকার, মমতার ইমেজ বাড়লো । কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা যে হল না কেউ খবরই রাখলো না । অত সময় কোথায় লোকের ,?

,২. দ্বিতীয়ত এই খবরটা ছেপে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্রেডিট পাইয়ে মাঝখান থেকে বিজ্ঞাপনের বহর বাড়িয়ে নিল ,”বর্তমান” । পাবলিক বোকা বনে রইল । গজগজ করতে করতে অতিরিক্ত ভাড়াটা পকেট থেকে বার করে অফিস দৌড়ালো ।

খেয়াল করে দেখুন এই ভাবেই চলছে বাংলা । সরকার বলছে, পরিবহন মন্ত্রী বলছেন ভাড়া বাড়বে না কোনমতেই । অথচ বাসে উঠলে ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা, ১৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা দিয়ে মানুষ ছুটছে অনুপায় হয়ে ।

আর বর্তমান পত্রিকা সরকারি বিজ্ঞাপনে সমৃদ্ধ হয়ে দিনের পর দিন এই জাতীয় ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করে চলেছে ।

শুধু “বর্তমান” কেন, “এই সময়” পত্রিকাও একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে, মিথ্যে প্রচারে ।

কি বলবেন এই প্রচারকে ? চুপ থাকবেন ? থাকুন । পারলে ডিজিটাল যুগে say no to newspaper আন্দোলনে সামিল হোন ।

এটাই এখন সময়ের দাবি ।। ভুল বললাম ?

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় (৯৮৩০৪৩৬০৭৮)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.