নয়া দিল্লীঃ কিলিমাঞ্জারো পাহাড়কে বিশ্বের সবথেকে দুর্গম শৃঙ্গের মধ্যে একটি মানা হয়। আর এর প্রধান কারণ হল পাহাড়ে আগ্নেয়গিরি থাকা। এই পর্বতশৃঙ্গটি আফ্রিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া এবং তাঞ্জানিয়া দেশে অবস্থিত। সাত বছর বয়স ঘর আর পার্কে গিয়ে খেলার বয়স হয়। আর এই ছোট বয়সের বাচ্চারা স্কুলে না যাওয়ার জন্য অনেক বায়না ধরে। কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক বাচ্চার কথা জানাব, যে কিলিমাঞ্জারো জয় করে নিয়েছে। আর কিলিমাঞ্জারো পাহাড়ের শৃঙ্গে ভারতের পতাকা তুলেছে।
ওই সাত বছরের বাচ্চার নাম বিরাট। সে হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। বলে রাখি, কিলিমাঞ্জারো পাহাড়ের উচ্চতা ৫ হাজার ৮৯৫ মিটার। আর এটি তিনটি আগ্নেয়গিরি দিয়ে ঘেরা। এই পাহাড়ে সাত হাজার মানুষ চড়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু হাতে গোনা কিছু মানুষই এই শৃঙ্গ জয় করতে পেরেছে। কিন্তু এবার হায়দ্রাবাদের ৭ বছরের বাচ্চা বিরাট চন্দ্র থেলুকুন্তা মাত্র ৫ দিনেই মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করে ফেলে। আসুন জেনে নিই বিরাট কীভাবে এই কাজ করল।
বিরাট নিজের ট্রেনার আর তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গে এই শৃঙ্গ জয় করার জন্য ২ মার্চ চড়াই শুরু করেছিল। লাগাতার ৫ দিন চড়াই করার পর বিরাট কিলিমাঞ্জারো পাহাড়ের সবথেকে উঁচু শৃঙ্গে পৌঁছাতে সক্ষম হয় আর বিরাট সেখানে ভারতীয় পতাকা তোলে। বিরাটের বাবা-মা জানান, বিরাটের একটাই ইচ্ছে আর সেটা হল বিশ্বের সবথেকে উঁচু শৃঙ্গে চড়াই করে সেখানে ভারতের পতাকা তোলা।
বিরাটের বাবা-মা জানান, বিরাট পর্বতারোহনের কোনও ট্রেনিং নেয়নি। তাঁর ট্রেনার শুধু এই ট্রিপের জন্য বিরাটকে প্রথমবার ট্রেন করেছিল। বিরাটের ট্রেনার জানান, কিলিমাঞ্জারো পাহাড়ে ওঠার জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল খারাপ আবহাওয়া। গোটা সফরে আলাদা আলাদা চারবার আবহাওয়া বদলায়, আর সেই আবহাওয়ার সঙ্গে সামাঞ্জস্য করা সহজ ছিল না।
কিলিমাঞ্জারোর অর্ধেক সফর পর্যন্ত বিরাটের বাবা-মা তাঁর সঙ্গ দিয়েছিল। কিন্তু ৩ হাজার মিটারের পর থেকে বিরাট এই সফর তাঁর ট্রেনারের সঙ্গেই সম্পূর্ণ করে। বিরাটের এই সফরে ট্রেনারের সঙ্গে তাঞ্জানিয়ার গাইডরাও ছিল। এই সফর সম্পূর্ণ করার জন্য ৫ দিন সময় লেগেছিল, আর সবথেকে উঁচু শৃঙ্গ থেকে নীচে নামতে মাত্র একদিনের সময় লেগেছিল।