আমেরিকার ৪০টি শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির সিইও-রা একত্রিত হয়ে করোনা বিপর্যয়ের সঙ্কটের মধ্যে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে এসেছে । করোনা যুদ্ধে ভারতের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সৌহার্দ্য-র হাত বাড়িয়ে তারা একটি ভারত ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স তৈরী করেছে। এর মাধ্যমে করোনা যুদ্ধে ভারতকে লড়াইয়ের জন্য তারা সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্যোগকে এক কথায় ভারতের প্রতি মার্কিন সৌহার্দ্য বললেও অত্যুক্তি হবে না।
ইউএস চেম্বার অফ কমার্স-এর ইন্দো -ইউএস বিজনেস কাউন্সিল, ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরাম সোমবার এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বলে জানান ডিলয়েটের সিইও পুনিত রেনজেন । তিনি জানান, মূলত একটি যৌথ মঞ্চ তৈরী করা হয়েছে ভারতকে করোনা যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য। তৈরী করা হয়েছে একটি টাস্ক ফোর্স। এর মাধ্যমে ভারতকে করোনা যুদ্ধে লড়াই করার জন্য ওষুধ, ২০ হাজার অক্সিজেন কন্সেন্ট্রেটর দেওয়া হবে।
ভারতে করোনা ক্রমেই বেড়ে যাওয়ার জন্য এই বিশেষ ভারতভিত্তিক টাস্ক ফোর্স তৈরী করা হয়েছে বলে পুনিত রেনজেন জানান। ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগ কী ভাবে ভারতের করোনা সংক্রমণ-এর বিরুদ্ধে কাজ করবে সেটাও ব্যাখ্যা করেন ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেট টনি ব্লিনকেন।
পুনিত রেনজেন বলেন, “বেশ কয়েকটি আমেরিকান সংস্থা একত্রিত হয়েছে এই কাজে । আমরা যতটা সম্ভব এই বিপর্যয়ের দিনে ভারতের পাশে দাঁড়াবো। আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেই আমরা এই কাজটি করেছি। আমেরিকা-ভারত নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক নিয়ে চলে। উভয় দেশই পরস্পরের মিত্র। উভয় দেশই পরস্পরের বন্ধু বললেও অত্যুক্তি হয় না। তাই ভারতের এই সংকটের দিনে ভারতের পাশে দাঁড়ানো আমরা প্রয়োযন মনে করেছি । এটা আমাদের প্রেসিডেন্ট বাইডেনও মনে করেন। করোনার প্রথম ঝাপ্টা মোকাবিলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নবেন্দ্র যেমন ভাবে বলেছিলেন, আমরা তাতে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরা দেখেছিলাম সফলভাবে ভারত করোনা মোকাবেলা করছে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতকে তো বটেই আমাদের দেশকেও নাড়া দিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ভারতকে যে কোনওভাবে সাহায্য করাই আমাদের প্রথম ও প্রধান কাজ।”