রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দক্ষিণ-বীরভূম সাংগঠনিক জেলার প্রচার প্রমুখ পার্থ সারথি সাধু শুক্রবার ভোরে পরলোক গমন করেন । অকৃতদার পার্থসারথিবাবু বোলপুরে তার বাসস্থানে একাই থাকতেন। শুক্রবার ভোরে এক প্রতিবেশী পার্থসারথিবাবুকে তাঁর কম্পুটার টেবিলের চেয়ারে মৃত অবস্থায় দেখতে পান । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৫৫ । কয়েকদিন আগে উনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন বলে পরিচিতজন জানান । ওনার পরিবারের সদস্যরা জানান হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত কিছু সমস্যা পার্থসারথিবাবুর ছিল। বোলপুর সংলগ্ন ইটন্ডার এক বনেদী পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি । লেখাপড়ার সুত্রে বোলপুর আসেন এবং সেখানেই উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত একটি বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। কৈশোর থেকেই সঙ্ঘের স্বয়ংসেবক ছিলেন।
২০১৯ সালে লাভপুরে এক তরুণীকে অপহরণের অভিযোগ নিয়ে ব্যপক উত্তেজনা তৈরী হয় । সে সময় পার্থসারথিবাবু এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’ তে কিছু কথা লিখেছিলেন ।প্রথমে ‘সাইবার ক্রাইম’ এর অভিযোগ দায়ের করা হলেও পরে পার্থসারথিবাবুকে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগে অন্যদের সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় । প্রায় পঞ্চাশ দিন তাকে কারাগারে বন্দী থাকতে হয় এবং জামিন পান।কিন্তু এই হুমকী ও কারাবাস ওনাকে দমিয়ে দিতে পারেনি। জামিনে মুক্ত হয়েই তিনি আবার সঙ্ঘের কাজে সক্রিয় হয়ে ওঠেন । পার্থসারথিবাবু জীবনের একটা দীর্ঘ সময় সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সঙ্গে একাধিক সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। ব্যক্তিগত জীবনে একটি ভ্রমণ সংস্থার কর্ণধার ছিলেন।
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পক্ষ থেকে পার্থসারথিবাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। সঙ্ঘের অন্যতম প্রাদেশিক কার্যকরতা শিবাজী প্রসাদ মন্ডল বলেন , ‘অত্যন্ত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও নিষ্ঠা ও সাহসিকতার সঙ্গে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত উনি সঙ্ঘের তথা দেশের কাজে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। তার এই অকালমৃত্যু সমাজের জন্য একটা বড় ক্ষতি’।