আজ ৭ই জুলাই ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রার ২১তম বলিদান দিবস।একুশ বছর আগে ১৯৯৯ সালে ভারত মাতার জন্য সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছিলেন অকুতোভয় বীরযোদ্ধা ভারতমাতার বীরসন্তান ক্যাপ্টেন বিক্রম বাত্রা।তাঁর বলিদান ও বীরত্বের কাহিনী ইতিহাসের পাতার ছত্রে ছত্রে বর্ণিত।
কিন্তু এই বিক্রম বাত্রার মতোই প্রচন্ড সাহসী ও ডেডিকেটেড তার প্রেমিকা ডিম্পেল চিমা। যিনি ছিলেন তাঁর প্রেমের প্রতি ডেডিকেটেড। সম্মুখ সমরে যুদ্ধ না করলেও প্রতিনিয়ত যারা যুদ্ধ করে নিজের মনের সাথে। প্রিয়তম পুরুষের প্রতীক্ষায় যাদের দিন কাটে। বিক্রমের বীরগতি প্রাপ্তের পর ডিম্পেল বলেছিলেন একটি দিনও তার কাটেনি যেদিন তিনি বিক্রমের স্মৃতিচারণ করেননি।
১৯৯৫ সালে পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটিতে এম. এ পড়তে গিয়ে আলাপ হয় ডিম্পেল ও বিক্রমের। কিন্তু তারা দুজনেই কমপ্লিট করতে পারেননি। কোনো এক সাক্ষাৎকারে ডিম্পেল বলেন ” I guess it was destiny’s way of bringing us together. ” ১৯৯৬ সালে বিক্রমের IMA-তে সিলেকশন হওয়ার পরে তার উচ্ছ্বসিত গলার স্বর ডিম্পেলের কানে বাজে আজও।বিক্রম দূরে যাওয়ার পরেও বাড়িতে সাংঘাতিক চাপের পরেও নতিস্বীকার করেননি ডিম্পেল। কারণ তার সাথে ছিলো তার প্রেমের প্রতি বিশ্বাস ও বিক্রমের মানসিক সাপোর্ট।
সবথেকে স্মরণীয় দিন ছিল ডিম্পেলের কাছে সেদিন যেদিন ডিম্পেল বিয়ের প্রসঙ্গ তুললে বিক্রম ওয়ালেট থেকে ব্লেড বের করে আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে ডিম্পেলের সিঁথি ভরিয়ে দেন।
বিক্রমের মৃত্যু তাঁদের প্রেমের শেষ নয়। বরং ডিম্পেলের কাছে নতুন এক পথ চলা। প্রেমিকের স্মৃতি স্বপ্ন বুকে করে বেঁচে থাকা।যেনো বিক্রম নেই বলেই আরো বেশি করে আছে।ডিম্পেলের হৃদয়ের অন্তরে অক্ষত হয়ে আছে বিক্রমের স্মৃতি যা চিরদিন অম্লান হয়ে রয়ে যাবে।
ডিম্পেলের মতো অসাধারণ সহযোদ্ধা, প্রেমিকা, জীবনসঙ্গীনীরাই হয় বিক্রম বাত্রাদের মতো অকুতোভয় যোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। ডিম্পেলের মতো সাহসীদের প্রতি ও তাই আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। যারা নিজেদের ভালোবাসাকে কখনও বেঁধে রাখেনি, বরং বৃহত্তর স্বার্থে দেশের স্বার্থে নিজের কাছের মানুষের বলিদানের মাধ্যমেই নিজের ভালোবাসার উদযাপন করে চলেছেন প্রতি মুহূর্তে। ভারতমাতার এইসব বীর সন্তান ও তাদের সহযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
জয় হিন্দ।
Protuysha nandy