এক দশক আগের ঘটনা হলেও তালিবানের সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ইতিহাসে এই ঘটনায় বোধহয় ব্যক্তিগতভাবে সবচাইতে নৃশংস ঘটনা যা তালিবানের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিলো।
তালিবান জঙ্গিরা সচরাচর নিরীহ লোকজনদের চোখ খুবলে নেই অথবা কেটে টুকরো করে ফেলে, কিন্তু তালিবান জঙ্গিদের ও একইভাবে কচুকাটা করার ঘটনা খুব একটা প্রকাশ্যে আসে নি বললেই চলে।
ঘটনাটি ২০১১ সালের ব্রিটিশ সেনা বাহিনীকে কর্মরত বছর ২৫ এর গোর্খা সৈনিক এক তালিবানকে মেরে কুপিয়ে মাথা কেটে নিয়ে চলে যায় ‘তালিবান বিজয়ের ট্রফি’ হিসেবে। ব্যাপারটা অনেকটা মাথা কেটে নিয়ে যাওয়া নাগাদের মতো। নাগাল্যান্ড ও মিয়ানমারের নাগারা যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুদের মেরে মাথা নিয়ে চলে যেত এবং নিজেদের ঘরে শত্রুর খুলি সাজিয়ে রাখতো।
ওই ঘটনা হতচকিত করেছিল ব্রিটিশ রয়াল আর্মিকেও যারা ওই গোর্খা সৈনিকের নাম প্রকাশ করে নি যদিও ওই ঘটনার সত্যতা চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি করেছিল। ফার্স্ট ব্যাটালিয়ানের রয়াল গুর্খা রাইফেলসের ওই জওয়ান তাঁর প্লেটুনের সন্যদের সাথে হেলমন্দ প্রভিন্সে যুদ্ধরত ছিল।
তাঁর ইউনিটকে বলা হয়েছিল কুখ্যাত তালিবান কমান্ডারকে যে কোনো মূল্যেই হত্যা করতে হবে। স্বভাবতই ওই যুবক বয়সের গোর্খা সৈনিক খুব উজ্জীবিত ছিল শত্রুর মাথা কাটার জন্য।
গোলাগুলিতে নিজের আগ্নেয়াস্ত্রের ভান্ডার শেষ হওয়ার পর ওই গোর্খা সৈনিক তালিবান সর্দারকে খুকরি বার করে কুপিয়ে হত্যা করে তার মাথা কেটে নিয়ে আসে।
এই ঘটনার পর বিতর্কের সৃষ্টি হলেও কিকিছুদিন পর আবার কাজে যোগ দেয় ওই সৈনিক।
তাঁর ব্যবহৃত খুকরির আঘাতে ওই তালিবান সর্দারের শরীর অজস্র টুকরো হয়েছিল এবং ওই ভারী অস্ত্রের আঘাতে তার কাঁধ, বুকের পাঁজর ও কোমর শরীর থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলো।
আন্তর্জাতিক যুদ্ধপরাধে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয় নি কারণ ওই গোর্খা সৈন্য যুক্তি দেখান নিজের জীবন বাঁচাবার জন্য তিনি খুকরি ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন।
উলেখ্য জেহাদিদের কাছে মাথাহীন ও অঙ্গচ্ছেদকৃত দেহ কবর দেয়া তাদের ধর্মমতে খুব অসম্মানজনক কারণ তা হলে নাকি জন্নত প্রাপ্তি ও ৭২ হুরের সাথে মিলন হয় না।