গতি বাড়িয়ে ভারতে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। মারণ এই ভাইরাসের প্রকোপে দিশেহারা সমগ্র দেশবাসী। বাড়তে বাড়তে শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। আক্রান্তের পাশাপাশি দ্রুত বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা, ভারতে ইতিমধ্যেই ৩৬,৫১১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে কোভিড-১৯। ভারতে বিগত ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার সারাদিনে) নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ভারতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৭,১১৭ জন। শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৬,৫১১ জন এবং সংক্রমিত ১৬,৯৫,৯৮৮ জন।
এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ১০,৯৪,৩৭৪ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ১০৪।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ৩৬,৫১১ জনের মধ্যে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশে ১,৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে ৩ জন, অসমে ৯৮ জন, বিহারে ২৯৬ জনের, চন্ডীগড়ে ১৫ জন, ছত্তিশগড়ে ৫৩ জন, দাদর ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৩,৯৬৩ জনের, গোয়া ৪৫ জন, গুজরাটে ২৪৪১ জনের, হরিয়ানায় ৪২১ জনের, হিমাচল প্রদেশে ১৪ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭৭ জনের, ঝাড়খণ্ডে ১০৬ জনের, কর্ণাটকে ২,৩১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ৭৩ জন, লাদাখে ৭ জন, মধ্যপ্রদেশে ৮৬৭ জন, মহারাষ্ট্রে ১৪,৯৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, মণিপুরে ৫ জন, মেঘালয়ে ৫ জন, নাগাল্যান্ডে ৫ জন, ওডিশায় ১৭৭ জনের, পুদুচেরিতে ৪৯ জন, পঞ্জাবে ৩৮৬ জন, রাজস্থানে ৬৭৪ জনের, সিকিমে একজন, তামিলনাড়ুতে ৩,৯৩৫ জন, তেলেঙ্গানায় ৫১৯ জন, ত্রিপুরায় ২১ জন, উত্তরাখণ্ডে ৮০ জন, উত্তর প্রদেশে ১,৬৩০ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১,৫৮১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ভারতে এই মুহূর্তে মৃত্যু হয়েছে ২.১৫ শতাংশ মানুষের, সুস্থ হয়েছেন ৬৪.৫৩ শতাংশ মানুষ এবং চিকিৎসাধীন ৩৩.৩২ শতাংশ মানুষ। এদিকে ভারতে দ্রুততার সঙ্গে বেড়েই চলেছে করোনা-পরীক্ষা। ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভারতে মোট ১,৯৩,৫৮,৬৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনিবার সকালে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, শুধুমাত্র ৩২ জুলাই ৫,২৫,৬৮৯টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।