লাফিয়ে লাফিয়ে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে উদ্বেগ ও দুঃশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে সমগ্র দেশবাসী। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যা আরও ভাবিয়ে তুলছে। ভারতে শেষ ২৪ ঘন্টায় (বৃহস্পতিবার সারাদিনে) নতুন করে কোভিড-১৯ (Covid-19) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারা দিনে ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৯,৩১০ জন। শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩০,৬০১ জন এবং সংক্রমিত ১২,৮৭,৯৪৫ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৮,১৭,২০৯ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ১৩৫।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ৩০,৬০১ জনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ৮৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে ৩ জন, অসমে ৭০ জন, বিহারে ২১৭ জনের, চন্ডীগড়ে ১৩ জন, ছত্তিশগড়ে ৩০ জন, দাদর ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে ৩,৭৪৫ জনের, গোয়া ২৯ জন, গুজরাটে ২,২৫২ জনের, হরিয়ানায় ৩৭৮ জনের, হিমাচল প্রদেশে ১১ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ২৮২ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৬৭ জনের, কর্ণাটকে ১,৬১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ৫০ জন, লাদাখে দু’জন, মধ্যপ্রদেশে ৭৮০ জন, মহারাষ্ট্রে ১২,৮৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে ৪ জন, ওডিশায় ১১৪ জনের, পুদুচেরিতে ৩৪ জন, পঞ্জাবে ২৭৭ জন, রাজস্থানে ৫৯৪ জনের, তামিলনাড়ুতে ৩,২৩২ জন, তেলেঙ্গানায় ৪৪৭ জন, ত্রিপুরায় ১০ জন, উত্তরাখণ্ডে ৬০ জন, উত্তর প্রদেশে ১,২৮৯ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১,২৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে মৃত্যু ও আক্রান্তের নিরিখে সর্বাগ্রে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্র ছাড়াও দিল্লি, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ভাবিয়ে তুলছে দেশবাসীকে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪,৭৫,০২-এ পৌঁছেছে। দিল্লিতে আক্রান্ত ১২,৭৩,৬৪, গুজরাটে ৫২,৪৭৭, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৫১,৭৫৭, উত্তর প্রদেশে ৫৮,১০৫ এবং তামিলনাড়ুতে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,২৯,৬৪।
ভারতে দ্রুততার সঙ্গে বেড়েই চলেছে করোনা-পরীক্ষা। ২৩ জুলাই পর্যন্ত ভারতে মোট ১,৫৪,২৮,১৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, শুধুমাত্র ২৩ জুলাই ৩,৫২,৮০১টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।