লাফিয়ে বাড়ছে পাঞ্জাবে (Punjab) বিষমদ (Toxic Liquor) খেয়ে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার যেখানে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে শনিবার মৃত্যু হল আরও ৪৮ জনের। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৬। এখনও অনেকেই গুরুতর অসুস্থ। মনে করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকায় কয়েকটি ধাবার মালিক–সহ এখনও পর্যন্ত মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে কড়া পদক্ষেপ করেছে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের (Amarinder Singh) সরকারও। কর্তব্যে গাফিলতি–সহ গোটা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সাসপেন্ড করা হয়েছে ৭ জন আবগারি দপ্তরের কর্তা (Excise Officials) এবং ৬ জন পুলিশকর্মীকে।
জানা গিয়েছে, বিষমদ কাণ্ডে গত বুধবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত শুধুমাত্র তরন তারনে (Tarn Taran) প্রাণ হারিয়েছেন ৬৩ জন। এছাড়া অমৃতসরে (Amritsar) ১২ জন এবং গুরদাসপুরে (Gurudaspur) ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গত শুক্রবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরপরই তদন্তে নেমে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তারপরেই বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক নাম। ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। তরন তারন, বাটালা এবং অমৃতসর–সহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। এছাড়া রাজপুরা (Rajpura) এবং শাম্ভু (Sambhu) সীমান্ত লাগোয়া বেশ কিছু এলাকাতেও হানা দেয় তাঁরা। এরপর বেশ কিছু ধাবার মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ধাবাগুলো।
এদিকে, এই ঘটনায় প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় জড়িতদের রেয়াত করা হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় সন্তুষ্ট নয় প্রধান বিরোধী দল শিরোমণি অকালি দল (Shiromani Akali Dal)। বিচারবিভাগীয় পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছে তারা। এই দাবিতে প্রয়োজনে হাই কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন অকালি নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, এই ঘটনার জন্য দায়ী কংগ্রেসের নেতা এবং বিধায়করাই। তাঁদের দৌলতেই ভেজাল মদের কারবার এত ফুলে–ফেঁপে উঠেছে। যদিও পালটা জবাবে মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার কথা বলেন। পাশাপাশি জানান, ২০১২ এবং ২০১৬ সালে গুরদাসপুর এবং বাটালার ঘটনার সময় সরকারে ছিল শিরোমণি অকালি এবং বিজেপি জোট। অর্থাৎ তাঁদের সময়েও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।