৫
বিগত বেশ কিছু বছর ধরেই ভারতে এবং ভারতের বাইরে বসবাসকারী হিন্দুদের মধ্যে জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে সচেতনতা ও আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তার ফলাফল হিসাবেই বেড়েছে জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোতে‚ বিশেষত আরএসএস এর সাথে যুক্ত হতে চাওয়ার প্রবণতা।
সঙ্ঘের সাথে যুক্ত হতে চাওয়া যুবকদের কাছে সহজে পৌঁছানোর জন্য আরএসএস এর তরফ থেকে অনলাইনে যোগাযোগ করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রাপ্ত তথ্য হিসাবে‚ ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭.২৫ লক্ষ মানুষ সঙ্ঘের সাথে যুক্ত হতে চেয়ে আবেদন করেছে। আর তাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ২০-৩৫ এর মধ্যে।
সঙ্ঘের তরফ থেকে দেওয়া এক বিবৃতি দ্বারা জানানো হয়েছে‚ আরএসএস আগামী এক বছরের মধ্যে সমাজ পরিবর্তনের জন্য ৭১‚৩৫৫ টি জায়গায় সরাসরি কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য সারা দেশে ১ লাখ জায়গা থেকে তাদের পরিষেবা কার্যক্রম প্রসারিত করা। কর্নালে সঙ্ঘের তিন দিনব্যাপী অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার (এবিপিএস) অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কার্যকর্তারা এই তথ্যটি দিয়েছেন।
এই ইভেন্টে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত এবং সরকার্যবহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সহ সঙ্ঘের সমস্ত শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। আরএসএস সহ-সরকার্যবহ ডঃ মনমোহন বৈদ্য জানিয়েছেন যে কোভিড মহামারীর পরে সঙ্ঘের কাজ এবং প্রভাব বেশ বড় আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান যে ২০২০ সালে, ৩৮‚৯১৩ টি জায়গায় ৬২‚৪৯১ টি শাখা এবং ২০‚৩০৩ টি জায়গায় সাপ্তাহিক মিলন ( সাপ্তাহিক সভা) চলত। এছাড়াও ৮‚৭৩২ জায়গায় মাসিক মন্ডলী ( মাসিক সভা) অনুষ্ঠিত হত। ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে ৪২‚৬১৩ টি জায়গায় ৬৮‚৬৫১ টি শাখা‚ ২৬‚৮৭৭ টি মিলন এবং ১০‚৪১২ টি স্থানে মাসিক মন্ডলী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও নিয়মিত প্রচারক ও বিস্তারকরা ছাড়ো প্রায় ১৩০০ জন অতিরিক্ত শতাব্দী প্রচারক সংঙ্ঘের শতবর্ষে কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্যে দুই বছরের মিশনে দায়িত্ব নিয়েছে।
বর্তমানে সঙ্ঘের উদ্দেশ্য হল শতবর্ষ পূরণের আগেই দেশের সমস্ত গ্রামে ( পূর্ণ মন্ডল) পৌঁছে যাওয়া।