সংক্রমণ ও মৃত্যুতে কোনও ভাবেই রাশ টানা যাচ্ছে না। ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। ভারতে বিগত ২৪ ঘন্টায় (মঙ্গলবার সারাদিনে) নতুন করে কোভিড-১৯ (Covid-19) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ভারতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৯,৪২৯ জন। বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ২৪,৩০৯ জন এবং সংক্রমিত ৯,৩৬,১৮১ জন। এখনও পর্যন্ত করোনা-মুক্ত হয়েছেন ৫,৯২,০৩২ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লক্ষ ৩৬ হাজার ১৮১ জন (সক্রিয় করোনা রোগী ৩,১৯,৮৪০)। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪,৩০৯। এর মধ্যেই চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫,৯২,০৩২ জন। সুস্থতার হারও বাড়ছে, কোভিড-১৯ রোগীদের সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩.২০ শতাংশ। সুস্থতা এবং মৃত্যুর অনুপাত ৯৬.০৫ শতাংশ: ৩.৯৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বুলেটিনে জানিয়েছে, ২৪,৩০৯ জনের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে ৪০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশে ৩ জন, অসমে ৪০ জন, বিহারে ১৭৪ জনের, চন্ডীগড়ে ১০ জন, ছত্তিশগড়ে ২০ জন, দিল্লিতে ৩,৪৪৬ জনের, গোয়া ১৮ জন, গুজরাটে ২০৬৯ জনের, হরিয়ানায় ৩১২ জনের, হিমাচল প্রদেশে ১১ জনের, জম্মু-কাশ্মীরে ১৯৫ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৩৬ জনের, কর্ণাটকে ৮৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন, কেরলে ৩৪ জন, লাদাখে একজন, মধ্যপ্রদেশে ৬৭৩ জন, মহারাষ্ট্রে ১০,৬৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, মেঘালয়ে দু’জন, ওডিশায় ৭৪ জনের, পুদুচেরিতে ১৮ জন, পঞ্জাবে ২১৩ জন, রাজস্থানে ৫২৫ জনের, তামিলনাড়ুতে ২,০৯৯ জন, তেলেঙ্গানায় ৩৭৫ জন, ত্রিপুরায় দু’জন, উত্তরাখণ্ডে ৫০ জন, উত্তর প্রদেশে ৯৮৩ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ৯৮০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ-এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক এবং প্রতিদিনই দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৭,৬৬৫-এ পৌঁছেছে। দিল্লিতে আক্রান্ত ১১,৫৩,৪৬, গুজরাটে ৪৩,৬৩৭, পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২,৮৩৮, উত্তর প্রদেশে ৩৯,৭২৪ এবং তামিলনাড়ুতে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৭৩,২৪।
ভারতে দ্রুততার সঙ্গে বেড়েই চলেছে করোনা-পরীক্ষা। মঙ্গলবার সকালে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, ১৪ জুলাই পর্যন্ত মোট ১,২৪,১২,৬৬৪টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। শুধুমাত্র ১৪ জুলাই ৩,২০,১৬১টি স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে।