একের পর এক বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে, বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন বেশে একবার ঢুকলেই হলো, কারণ তারপর ভুয়ো পরিচয়পত্র বার করার গ্যাং তো আছেই।
সাম্প্রতিক জঙ্গি গ্রেফতার ও জামাতের ডাকাতি ও অপহরণ গ্যাং এর কার্যকলাপ সামনে আসার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আবার পর্যালোচনা করার সময় হয়তো হয়ে এসেছে। সাধারণ জনমানসের নিরাপত্তার বিষয়ে কিছু করার নেই তা প্রশাসন দেখবে, কিন্তু জনগণের নিরাপত্তার প্রশ্নই বড়ো কারণ সবজিওয়ালা, ফেরিওয়ালা, রাজমিস্ত্রি, মাংসওয়ালাদের সেজেই লোকের গৃহেই হয়তো ঘটছে জঙ্গি অনুপ্রবেশ।
এর মধ্যেই আরেক অনুপ্রবেশের ঘটনা সামনে এলো উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ থেকে। ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে গ্রেফতার হলো ৫ বাংলাদেশি। টাকার বিনিময়ে ওই ৫ বাংলাদেশিকে যিনি ভারতে এনেছিলেন তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস।
শুক্রবার ভোরে হেমনগর থানার পারঘুমটি বাড়িতে ওই ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে ঢুকতে সাহায্য করেন নিমাই রায় নামে এলাকার এক রাজনৈতিক নেতা। এমনটাই অভিয়োগ উঠছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই পাঁচজনকে ধরে ফেলে গ্রামের মানুষজন। তাদের ধরে আটকে রাখা হয় গ্রামের একটি ক্লাবে। পরে তাদের পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হিঙ্গলগঞ্জের পারঘুমটি বাড়ি এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে কালিন্দী নদী। এলাকাটি বাংলাদেশ সীমানায় ভারতের শেষ অঞ্চল। কালিন্দী নদী পার হলেই বাংলাদেশ। এদিন বাংলাদেশ থেকে কালিন্দী নদী পার হয়ে সামসের নগরের কমলাখালিতে এসে ওঠে ওই চার জন। তারপরেই তারা ধরা পড়ে যায়। পুলিস সূত্রে খবর, ওই ৫ জনের বাড়ি বাংলাদেশের কৈখালি গ্রামে।
আজ ওই পাঁচজনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তদের ১৪ জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।