করোনা টিকার ৪৪ লক্ষ ডোজ নষ্ট হয়েছে দেশে। টিকার যোগানে ঘাটতির প্রশ্ন তুলে যখন কেন্দ্রকে দুষছে একাধিক রাজ্য, তখনই জানা গেল এই তথ্য।
এ বিষয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনের (আরটিআই) সাহায্যে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কেন্দ্রের কাছে। জবাবে আরটিআই দফতর জানিয়েছে, গত তিন মাসে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে করোনা টিকার বিপুল পরিমাণ ডোজ নষ্ট হয়েছে। যার একটা বড় অংশ নষ্ট করার জন্য দায়ী দেশের পাঁচটি রাজ্য— তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, পঞ্জাব, মণিপুর এবং তেলঙ্গানা। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্য যে একটিও টিকা নষ্ট করেনি সে কথাও তাদের উত্তরে জানিয়েছে আরটিআই দফতর।
২০২১ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই টিকাকরণ শুরু হয়েছে দেশে। আরটিআই যে তথ্য দিয়েছে, তা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হিসাবের ভিত্তিতে। তারা জানিয়েছে, ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা প্রতিষেধকের ১০ কোটি ডোজ ব্যবহার করেছে রাজ্যগুলি। তার মধ্যে গত প্রায় তিন মাসে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ৪৪ লক্ষ টিকার ডোজ নষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে তামিলনাড়ু। ১২ শতাংশ টিকার ডোজ নষ্ট করেছে এই রাজ্য। তারপরেই রয়েছে হরিয়ানা (৯.৭৪%), পঞ্জাব (৮.১২%), মণিপুর (৭.৮%) এবং তেলঙ্গানা (৭.৫৫%)।
আর যে সমস্ত রাজ্য টিকা একেবারেই নষ্ট করেনি, তাদেরও নাম জানিয়েছে আরটিআই। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া ‘জিরো ওয়েস্টেজ’ তালিকায় রয়েছে কেরল, হিমাচল প্রদেশ, মিজোরাম, গোয়া, দমন ও দিউ, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপ।
টিকার যোগানে ঘাটতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে দেশের একাধিক রাজ্য। যার মধ্যে অন্যতম দিল্লি, পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র। প্রতিষেধকে ঘাটতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যগুলির একরকম রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এমনকি, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির থেকে এই রাজ্যগুলিতে টিকা সরবরাহের পরিমাণ কম বলেও অভিযোগ করেছিল সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসন। তার মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে টিকাকরণের বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করে দেওয়ায় টিকার ঘাটতি বাড়তে পারে বলে সংশয় দেখা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের। এরই মধ্যে টিকা নষ্ট হওয়া সংক্রান্ত এই তথ্য নতুন প্রশ্ন তুলল প্রতিষেধকের যোগান নিয়ে।