করোনার টিকাকরণে সক্রিয় অংশ গ্রহণ দেশের জওয়ানদের। লেহ, লাদাখে মোতায়েন থাকা প্রায় চার হাজার জওয়ান শনিবার করোনা টিকা নেবেন বলে খবর। দ্য প্রিন্ট জানাচ্ছে ভারতীয় সেনার প্রত্যেক জওয়ান টিকা পাবেন, যার শুরু হচ্ছে নর্দার্ণ ফ্রন্ট জওয়ানদের দিয়ে।
বিশেষ সূত্রে খবর দেশের যে কোনও সীমান্তে মোতায়েন থাকা জওয়ানদের আগে লাদাখ সীমান্তের জওয়ানরা টিকা পাবেন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উপস্থিত প্রত্যেক জওয়ানের কাছে পৌঁছে যাবে টিকা। তবে যাঁরা অত্যন্ত প্রতিকূল ও উঁচু এলাকায় রয়েছেন, তাঁদের কাছে করোনার থেকেও বড় চিন্তা দেশের নিরাপত্তা।
তবে অন্য একটি সূত্র বলছে যে চার হাজার জওয়ান টিকা পাচ্ছেন, তা দেশের মোট জওয়ানের সংখ্যার তুলনায় নিতান্তই কম। লাদাখেই আরও সেনা জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন। তাদের আপাতত টিকা দেওয়া হচ্ছে না। লাদাখের সাধারণ মানুষও পরে টিকা পাবেন। আগে উপত্যকার স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে।
তবে সেনা সূত্রে খবর লাদাখের জওয়ানদের মধ্যে করোনা সেভাবে ছড়াতে পারেনি, যেভাবে অন্যত্র ছড়িয়েছে। এদিকে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্য কর্মীদের। সরকারি হিসেবে প্রায় ৩ কোটি মানুষকে প্রথম পর্বে টিকা দেওয়া হবে। তারপর করোনার টিকা পাবেন আরও ২৭ কোটি ভারতীয়। এক্ষেত্রে ৫০ বছরের বেশি ও ৫০-এর কম অথচ কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদেরই টিকা দেওয়া হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেছেন। দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার টিকাকরণ। রাজ্যে-রাজ্যে নির্দিষ্ট হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এরাজ্যেও মোট ২০৭টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা। শহর কলকাতার ১৭টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে।
সেনা সূত্রে খবর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার জওয়ান করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভারতীয় সেনাতেই রয়েছেন ১৬ হাজার জওয়ান। ৩২ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান মারা গিয়েছেন করোনায়। তবে করোনায় মৃত্যু হয়নি কোনও ভারতীয় বায়ুসেনা আধিকারিক বা নৌবাহিনীর কর্মীর।