ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে ত্রিপুরা। তবে অষ্টমীর সকালে সংঘটিত ভূমিকম্প অধিকংশ মানুষ অনুভব করেননি। রিখটার স্ক্যালে ৪.১ তীব্রতার ভূমিকম্প সকাল ৮টা ৫১ মিনিটে অনুভূত হয়েছে। আজকের কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল গোমতি জেলার অমরপুর থেকে ৪৪ কিমি পূর্বে ভূগর্ভ থেকে ৫০ কিমি গভীরে। সংঘটিত ভূমিকম্পে বাংলাদেশও কেঁপেছে। দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক ড. শরৎ কুমার দাস জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় ভূমিকম্প হালকা অনুভূত হয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলোজি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির ২৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্বে কম্পন অনুভূত হয়েছে। ওই স্থানেই ভূমিকম্পের উৎপত্তি। ত্রিপুরার গোমতি জেলার অমরপুর মহকুমা খাগড়াছড়ির খুব কাছে অবস্থিত। স্বাভাবিকভাবেই, ওই কম্পনের অনুভূতি অমরপুরেও হয়েছে। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক ড. শরৎ কুমার দাসের কথায়, ভূমিকম্পের তীব্রতা খুবই কম ছিল। বাংলাদেশে উৎপত্তি হওয়ায় নিকটবর্তীস্থানে কম্পনের অনুভূতি হয়েছে। কিন্তু, কেউ টের পাননি।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। মণিপুর, মিজোরাম এবং অরুণাচল প্রদেশে গত কিছুদিনে একাধিকবার ভূমিকম্প হয়েছে। আজ ত্রিপুরায় ভূমিকম্প হওয়ায় বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই সিসমিক জোন ৫-এ রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই অঞ্চলে ঘন ঘন ভূমিকম্প আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।