লাদাখের (Ladakh) গালওয়ান ঘাঁটিতে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৫ জন সেনা মারা গিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মির (Peoples Liberation Army)। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন চিনা সেনার। যদিও সরকারি হবে এখনও কিছুই জানায়নি শিং জিনপিংয়ের সরকার। ভারতের তরফে দাবি করা হয় পিপলস লিবারেশন আর্মির ৪৩ জন হতাহত হয়েছে। তবে মৃত্যু কতজনের তা বলেনি দিল্লি। চিনের বেতার তরঙ্গে আড়ি পেতে ভারত জানতে পেরেছে কমপক্ষে ৪৩ জন হতাহত হয়েছেন। কিন্তু মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, কেবলমাত্র মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের সেনাবাহিনীর সদস্যের, আহত সংখ্যা অনেক। নিহত ৩৫ জনের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন জন পিপলস লিবারেশন আর্মির শীর্ষক পদাধিকারী।
এমন রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর মার্কিন বিদেশ দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, “আমরা জেনেছি ভারতের ২০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আমরা তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাচ্ছি। অন্যদিকে চিনের সেনাদেরও মৃত্যু হয়েছে। ভারত এবং চিন দু’পক্ষেরই উচিত কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি ফিরিয়ে আনা।” ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনার শুরুতেই সময় থেকেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। কিন্তু সেবার ভারত ও চিন দুপক্ষই সেই প্রস্তাব সযত্নে খারিজ করে দিয়েছিল। তাই এবার আর মার্কিন রাষ্ট্রপতি কোন বিবৃতি বা টুইট না করে প্রশাসন মারফত বার্তা পাঠিয়েছেন দু’দেশের সরকারকে।
বুধবার চীনের সরকারি সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সঙ্গে শারীরিক সংঘর্ষ হয় চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির। এই ঘটনায় ভারতের ২০ জন এবং চীনের ৩০ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন।” এমনকি মৃত চীনা সৈনিকেদের নামও ‘গ্লোবাল টাইমসে’ প্রকাশ করা হয়। চীনের ওয়েস্টার্ন কমান্ডের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে চীনের সেনাবাহিনীর ৩ উচ্চ পদস্থ অফিসার ছিলেন। ৩০ জন নিহতের মধ্যে ছিলেন মেজর লিন জিয়াহু, ক্যাপ্টেন মেং জিয়াং, ক্যাপ্টেন কুই কাং, লেফটেন্যান্ট হুয়াং মু, লেফটেন্যান্ট পেং গুইইং, লিয়াং ইয়ান, লেফটেন্যান্ট সং জান এবং মেজর সার্জেন্ট ঝাউ শিয়ার মতো সেনা অফিসাররা। এছাড়া ‘গ্লোবাল টাইমসে’ মৃতের তালিকায় বাকি জওয়ানদের নাম রয়েছে, জহেং হু, টাও ইয়ি, শিই ইয়ং, গু কং, কং হে, তান ফেং, শু চিন, রেন আহ, লু ওয়াইন, টিয়ান জিক্সই, শি লুওয়াং, ওয়ান আজহু, জহং লি, ইয়ি সান এবং মো সুইফেং।