কাশ্মীরের মুসলিমদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বারবার আন্তর্জাতিক সংগঠনের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। ভারতকে অপদস্থ করার চেষ্টা করেছে। অন্যদিকে নিজেদের দেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালাচ্ছে ইসলামিক মৌলবাদীরা। প্রায়দিনই হিন্দু বা শিখ মহিলাদের তুলে নিয়ে জোর করে ধর্মান্তকরণ করিয়ে বিয়ে করছে। অথবা করছে গণধর্ষণ। বারবার আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি এই ধরনের ঘটনার নিন্দা করলেও কোনও রকম হেলদোল নেই তাদের।
এই পরিস্থিতিতে হিন্দুদের মধ্যে ক্রমশ পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসার প্রণবতা বাড়ছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কারণেই ভারতে এসে আশ্রয় পাওয়ার আশা জন্ম নিয়েছে তাঁদের মধ্যে। CAA-এর ফলে একদিকে যেমন ভারত থেকে বাংলাদেশ চলে যাচ্ছে প্রচুর মানুষ। উলটোদিকে তেমনি পাকিস্তান থেকে ভারতে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন হিন্দুরা।
সোমবারই যেমন ২০০ জন পাকিস্তানি হিন্দু ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছেন। ২৫ দিনের ভিজিটার ভিসা নিয়ে এই দেশে এলেও এদের মধ্যে অনেকেই আর পাকিস্তানে ফিরতে চাইছেন না। তাঁদের দাবি, পাকিস্তানে প্রতি মুহূর্তে অসুরক্ষিত মনে হয়। তাই আর তাঁরা সেখানে থাকতে চান না। ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার পরে তাঁরা নতুন করে বাঁচার আশা দেখতে পেয়েছেন। তাই এখানে এসেছেন।
সোমবার এই ধরনের চারটি পরিবারকে নিতে আটারি সীমান্তের চেকপোস্টে এসেছিলেন অকালি দলের নেতা ও দিল্লি গুরুদ্বারের পরিচালন সমিতির সভাপতি মনঞ্জিদার সিং সিরসা। পাকিস্তানে হিন্দু হওয়ার জন্য তাদের খুব অত্যাচার করা হচ্ছিল। তাই বাধ্য ওই পরিবারগুলি সেখান থেকে পালিয়ে ভারতে চলে এসেছে বলে দাবি। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন ওয়াঘা সীমান্তে থাকা ভারতীয় আধিকারিকরাও। তাঁদের কথায়, গত মাস থেকেই এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসার প্রবণতা বাড়ছে।
পাকিস্তান থেকে হরিদ্বার ঘোরার জন্য ভিসা নিয়ে এসেছেন লক্ষ্মণ দাস এক হিন্দু যুবক। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হরিদ্বারের পবিত্র গঙ্গায় প্রথমে একটা বড় ডুব দেব। তারপর নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবব। তবে যাই হোক , আমি ভারতেই থাকতে চাই।’