শুরু হল নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় ইনিংস। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে কয়েক হাজার অতিথির সামনে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তিনি। রাইসিনা হিলসে এদিন চাঁদের হাট। বিদেশি নেতা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্বদের আমন্ত্রন জানানো হয়। ঘড়ি ধরে ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় দ্বিতীয় বারের জন্যে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
এদিন মোদীর সঙ্গেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ৫৭ জন বিজেপি সাংসদ। যাদের মধ্যে সবথেকে কম বয়সি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সবথেকে বেশি বয়সের মন্ত্রী হলেন রাম বিলাশ পাসোয়ান। মোদীর মন্ত্রিসভায় মোট ২০ জন নতুন মুখ। স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসাবে কাজ করবে ৯ জন। প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন ২৪ জন। মোদীর মন্ত্রিসভায় মহিলা সদস্য ৭। তবে সবথেকে উত্তরপ্রদেশ থেকে বেশি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী হিসাবে সাংসদ বেছে নেওয়া হয়েছে। ৮ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে সেখান থেকে। ২ জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী পেল বাংলা। একজন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী।
অন্যদিকে, এবার প্রথম মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছে বেশ কয়েকজন মুখ। যেমন এসেছেন অনুরাগ ঠাকুর, শিবসেনার অরবিন্দ সাওয়ান্ত এবং এস জয়শঙ্কর। যিনি কিনা দীর্ঘদিন মোদীর বিদেশমন্ত্রকের বিদেশ সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। মোদীর জমানায় একাধিক বিদেশ নীতির কারিগর তিনি। চমক দিয়ে সেই সুব্রহামানিয়াম জয়শঙ্কর কে মন্ত্রিসভায় নিয়ে এলেন মোদী ও অমিত শাহ। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন কূটনীতিক জয়শঙ্কর।
মোদী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রীদের তালিকা এক নজরে-
ক্যাবিনেট মন্ত্রী–
এস জয়শঙ্কর, রমেশ পোখরিয়াল নিশাক, অর্জুন মুন্ডা, প্রহ্লাদ জোশি, অরবিন্দ সাওয়ান্ত।
মোদী সরকারের প্রতিমন্ত্রী–
প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, জি কিষান রেড্ডি, অনুরাগ ঠাকুর, সঞ্জয় শামরো ধোত্রে, দেবশ্রী চৌধুরী, কৈলাশ চৌধুরী, প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গি, রামেশ্বর তেলি, নিত্যানন্দ রায়, রতন লাল কাটারিয়া, ভি মুরলীধরন, রেনুকা সিং সারুতা, সোম প্রকাশ, আঙ্গাদি সুরেশ চান্নাবাসাপ্পা।
প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত)-
প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল।
এছাড়াও, নিতীন গড়করি, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমন, ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রকাশ জাভেড়কর, স্মৃতি ইরানি এবারও মোদীর মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকছেন।