এবারে দুই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে নকল নথি ও সই জাল করে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল। তারা গ্রামের মহিলাদের নামে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে তৃণমূলের ওই দুই নেত্রী দুজনেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নেত্রী। খবর সামনে আসতেই গ্রামের মহিলারা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রায় চার ঘন্টা দুই নেত্রীকে আটকে রাখলেন। এদিকে শাসক দল জানিয়ে দিয়েছে, ওই দুই মহিলা তৃণমূলের কেউ নয়।
সূত্র মারফত খবর, চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত দুই নেত্রী বকুল চক্রবর্তী ও চুমকি সাহা নিজেদের সমস্ত অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয়। শুধু তাই নয়, গ্রামের প্রতারিত মহিলাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে বাধ্য হন মুচলেখা দিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাটোয়া থানার পুলিশ। এরপর গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ওই দুই নেত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে যায় কাটোয়া থানায়। সূত্র মারফত খবর, বকুল ও চুমকি গ্রামের কয়েকশো মহিলার সঙ্গে লাখ লাখ টাকার প্রতারণা করেছে, রাজ্য সরকারের আনন্দধারা প্রকল্পকে হাতিয়ার করে। অভিযোগ উঠেছে, তাদের এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ব্যাঙ্ক কর্মী থেকে শুরু করে অন্যান্য গোষ্ঠীর অনেকেই।
এদিকে গ্রামের দরিদ্র মহিলারা নিজেদের অজান্তেই ভুয়ো ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বহারা হয়েছে। তাদের গচ্ছিত টাকা ব্যাঙ্ক থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে ঋণ পরিশোধের নামে। অভিযুক্ত বকুল চক্রবর্তী জানান, এই জালিয়াতির সঙ্গে বিভিন্ন ব্লকের কর্মী থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের কর্মীরা যুক্ত রয়েছে। অন্যদিকে চুমকি সাহা জানিয়েছেন, ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ এই ভাবেই ব্যাঙ্কের যোগসাজশে বিভিন্ন জনের নামে তোলা হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তপন কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, বকুল ও চুমকি কেউই তৃণমূল করে না।
2022-07-04