বেশ কয়েক মাস ধরেই এই অনলাইন খেলাটির প্রতি বুঁদ হয়ে আছে যুব সমাজের একটা বড় অংশ। এই খেলার নেশার তীব্রতায় ঘটেছে নানা রকম ঘটনা। বারবারই শোনা গিয়েছে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে কেউ কেউ। এবার এই খেলার মাসুল দিতে হলো প্রাণ দিয়ে।
নিজেদের মোবাইলে বুঁদ হয়ে পাবজি খেলতে খেলতে ট্রেনে কাটা পড়লেন দুই যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, পাবজি খেলতে খেলতে এতটাই জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন ওই দুই যুবক, যে ঘাড়ের ওপর এসে পড়া চলন্ত ট্রেন খেয়ালই করেননি তাঁরা। যার ফলে বেঘোরে খোয়া গেল দু’-দু’টো প্রাণ। শনিবার সন্ধেবেলা মহারাষ্ট্রের হিঙ্গোলিতে একটি বাইপাসের সামনে ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মৃত দুই যুবকের নাম নাগেশ গোরে (২৪) এবং স্বপ্নিল অন্নপূর্ণে (২২)। রেললাইনের ধারে দাঁড়িয়েই পাবজি খেলছিলেন তাঁরা। সেই সময়েই তাঁদের পিষে দিয়ে গেল হায়দরাবাদ-আজমের দূরপাল্লার ট্রেন। পরে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের দেহ খুঁজে পান বলে জানিয়েছে পুলিশ।পাবজি বা ‘প্লেয়ার আননোন’স ব্যাটলগ্রাউন্ড’ নামের এই যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলাটির জন্ম দক্ষিণ কোরিয়াতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই খেলাটি যারা খেলে, তারা চরম নেশায় আক্রান্ত হয়। হিংস্র মনোভাবাপন্ন একটা প্রবণতা পেয়ে বসে তাদের।মনোরোগের চিকিৎসকেরা বলেন, মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ধ্বংসাত্মক মনোভাবকে টেনে বার করে আনে এই গেম। খেলার ছলে প্রশ্রয় দেয় রক্ত, মৃত্যু, খুন, জয়।সে রকমই নেশায় মেতে গিয়েছিলেন ওই দুই যুবক। তাঁদের পরিবার সূত্রের খবর, বাড়িতেও মোবাইলের ওই গেমেই ডুবে থাকতেন তাঁরা। পরিবারের সদস্যরা বারবার সাবধান করতেন, রাস্তাঘাটে এমন না করার। কিন্তু সে সাবধানী যে পাবজির নেশা পেরিয়ে যুবকদের কানে পৌঁছয়নি, তা প্রমাণ করছে এই মর্মান্তিক ঘটনাই।এর মধ্যেই বেশ কিছু রাজ্যে নিষিদ্ধ হয়েছে এই হিংস্র গেম, পাবজি। মহারাষ্ট্রের প্রতিবেশী রাজ্য গুজরাত তার মধ্যে একটি। দিন কয়েক আগেই গুজরাতের রাজকোটে পাবজি খেলার অবরাধে ধরা পড়ে ১০ জন। তাদের মধ্যে ছ’জন কলেজপড়ুয়া ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।