পুজোর ইতিহাস আজকের নয়। সে প্রায় অনেক যুগ আগের কথা। কলকাতা শহরকে চিনতে হলে ঘেঁটে দেখতে হবে বনেদিবাড়ির দুর্গাপুজো। ঠিক যেমন ঠনঠনিয়ার দত্তবাড়ি। যে পুজোর বয়স ১৬৬ বছর। সেই একইরকম চেহারা নিয়ে, একই আড়ম্বরে দেবী দুর্গার মূর্তি আসে এই বাড়িতে৷ ১৮৫৫ সালে দ্বারিকানাথ দত্তের হাত ধরে শুরু হয় পুজো। বাড়িতে ঢুকলে এখনও বনেদিয়ানার ছোঁয়া।
পুরাণ অনুযায়ী বণিকদের বাড়িতে অসুরের বদলে থাকেন শিব। দত্ত পরিবার সুবর্ণ বণিক। তাই মহিষাসুরের বদলে দুর্গা হাজির হন শিবের কোলে। প্রেমের কাহিনিই এখানে মূল উপজীব্য। এই প্রতিমাই হল ঠনঠনিয়া দত্তবাড়ির প্রধান আকর্ষণ।
গত বছর থেকেই করোনাকালীন পরিস্থিতিতে পুজো-আচারে কিছু বদল ঘটছে। এত বছর ঠাকুরদালানেই তৈরি হত প্রতিমা। কিন্তু গত বছর থেকে কুমোরটুলি পাড়া থেকে আসছেন দেবী। উচ্চতাও কিছু কমানো হয়েছে। প্রতি বছর ঠাকুরদালানে রাখি পূর্ণিমার দিন কাঠামো পুজোর পর থেকেই উৎসবের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যেত। এখন ঐতিহ্যে কিছুটা তাল কেটেছে।
দত্তবাড়ির পুজোর মেয়াদ দশদিন। প্রতিবার বিসর্জনের সময় বাড়ির সবাই ঠাকুরদালান থেকে কাঁধে করে প্রতিমা বাড়ির সদর দরজা পর্যন্ত নিয়ে যান। গত বছর তা হয়নি। লোহার ট্রলিতে গঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এবছর বাইরের লোকও খুব বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না এই পুজোয়।