পর্ব ৪
১৯৪৬এর ছায়া কি দেখতে পাচ্ছেন?
১৯৪৬ | ২০১৯ |
১৬ আগস্ট, জুম্মাবার, পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ শুরু। | ১৩ ডিসেম্বর, জুম্মাবার, পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ শুরু। |
উদ্দেশ্য – বাংলাকে পাকিস্তান করা | উদ্দেশ্য – পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তান করা |
পন্থাঃ সহিংস আক্রমণে বাঙ্গালীকে ভীত করে বাংলাকে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করা | পন্থাঃ সহিংস আক্রমণে বাঙ্গালীকে ভীত করে নাগরিকত্ব আইন ও এন আর সি বাতিলের দাবী আদায় |
পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা | পুলিশ প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা |
কি করে কলকাতা ভারতে থাকলঃ বাঙ্গালীর সক্রিয় প্রতিরোধে | কি করে পশ্চিমবঙ্গ অনুপ্রবেশকারী তাড়াবেঃ নাগরিকত্ব আইন ও এন আর সি চালু করে ও বাঙ্গালীর সক্রিয় প্রতিরোধে |
সব আক্রমণ, ধ্বংসলীলা, নারীদের উপর অত্যাচার মনে রাখুন
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, আচার্য যদুনাথ সরকার, আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা, বিজ্ঞানী শিশির মিত্র, ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদার ও অন্যানা বাংলার সব বিদ্বজ্জন চেয়েছিলেন ইসলামী অত্যাচার থেকে মুক্ত হিন্দু বাঙ্গালীর হোমল্যান্ড – পশ্চিমবঙ্গ। কারণ তাঁরা জানতেন যে মুসলমান প্রধান যুক্ত বাংলায় হিন্দুরা তাঁদের ধর্ম, সংস্কৃতি, নারীর সম্মান নিয়ে থাকতে পারবেন না। তাঁরা যে একশো শতাংশ সঠিক ছিলেন তার প্রমাণ পূর্ব পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ হিন্দু উদ্বাস্তুর আগমন। ১৯৪৭এর ২৯% হিন্দু বাংলাদেশে আজ কমে হয়েছে ৭%। কিন্তু আশ্চর্য যে পশ্চিমবঙ্গে ১৯৫১-র ১৯% মুসলমান এত লক্ষ লক্ষ হিন্দু আসা সত্বেও সমস্ত অঙ্ক শাস্ত্রকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বেড়ে হয়েছে ৩০%র কাছাকাছি। এই জেহাদী শক্তি আজ পশ্চিমবঙ্গকে গ্রাস করতে উদ্যত। যখন গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় তা প্রতিরোধ করা হচ্ছে তখনই এই জেহাদী শক্তি রাস্তায় নেমেছে পাকিস্তান আন্দোলনের কায়দায়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ক্ষমতায় থাকার জন্য রাজ্যের শাসক দল এই জেহাদী শক্তির হয়ে কাজ করছে। স্রেফ বিজেপি বিরোধিতার জন্য সিপিএম, কংগ্রেস সমর্থন করছে জেহাদী শক্তিকে।
বিচ্ছিন্ন ভাবে আক্রমণ, ধ্বংসলীলা, নারীদের উপর অত্যাচার হয়ে চলেছে স্থানে স্থানে। বানতলা, ধানতলা, তসলিমা নাসরিন, দেগঙ্গা, রাজাবাজার ট্রামডিপো, নলিয়াখালি, কুলপি, কামদুনি, ধূলাগড়, বসিরহাট, কালিয়াচক – তালিকা দীর্ঘ। কিন্তু সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে আর কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, রাজ্য জুড়ে একই সঙ্গে তিনদিন ধরে জেহাদী তাণ্ডব। এতদিনের বিচ্ছিন্ন ঘটনার সাফল্যগুলির পর যখন সামনে এসেছে নাগরিকত্ব আইন আর এন আর সি-র চাবুক তখন জেহাদী শক্তি তার পাকিস্তানী চেহারাকে সামনে নিয়ে এসেছে।
মনে রাখবেন আপনি কখনোই নিরাপদ নন। এমনকি আপনি যদি তথাকথিত নিরাপদ অঞ্চলে থাকেন তাহলেও নন। উপরোক্ত ঘটনাগুলির ঠিক ৬ মাস আগে, ১০ জুন ২০১৯এ সন্ধ্যায় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে একজন ৭৫ বছরের অসুস্থ মুসলিম বৃদ্ধ মারা যান। তাঁর আত্মীয়রা মহিলা চিকিৎসক সহ কয়েকজনকে মারধর করে। আরো সমস্যার আশঙ্কায় চিকিৎসকেরা এন্টালি থানায় নিরাপত্তার জন্য খবর দেয়। রাত ১০টায় কয়েক কিলোমিটার দূরের তিলজলা থেকে ট্রাকে করে ২০০জন মুসলমান জনতা এসে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীদের বেধড়ক পেটায়। দুজন চিকিতসককে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পুলিশ সব জেনেও কোন কিছু করে নি। পরেও কেবলমাত্র লোক দেখানো রোগীর কয়েকজন আত্মীয়কে গ্রেফতার করে। অর্থাৎ আপনি যেখানেই থাকুন না কেন ২০০ জন মুসলমান দুষ্কৃতী ট্রাকে করে এসে নির্বিবাদে আপনাকে বাড়িতে এসে মারধর, আপনার পরিবারের নারীদের উপর অত্যাচার করে যেতে পারে। এই হচ্ছে আজকের পশ্চিমবঙ্গ। ( https://www.telegraphindia.com/states/west-bengal/nrs-medical-college-junior-doctors-assaulted/cid/1692258)
কিন্তু আমরা একটি ঘটনাও ভুলি নি, ভুলব না। সেজন্যই এই প্রতিবেদন যাতে আগামি দিনে এই প্রতিটি দাঙ্গাবাজকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারি, যে সমাজ এই জেহাদী শক্তিকে লালন পালন করছে তাদের উপযুক্ত শাসন করতে পারি, দূর করতে পারি ধর্মীয় তোষণের রাজনীতি, প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে শ্যামাপ্রসাদ ও বাঙ্গালী মহান বিদ্বজ্জনদের স্বপ্নের পশ্চিমবঙ্গ ফিরিয়ে আনতে পারি।
সমাপ্ত
© মোহিত রায় , সুজিত সিকদার
Part 4
Can you see the reflection of 1946 in this?
1946 | 2019 |
16 August, Jummabar, planned attacks begin. | 13 December, Jummabar, planned attacks begin. |
Objective- To transform Bengal into a part of Pakistan. | Objective- To transform Bengal into a sort of Pakistan. |
Strategy: Violent assaults, germinating fear among the Bengali people to make Bengal a part of Pakistan. | Strategy: Violent assaults to germinate fear among the Bengali people to successfully claim the cancellation of Citizenship Acts and the NRC. |
The inaction of police administration | The inaction of police administration |
How did Kolkata still remain a part of India? Though active resistance of the Bengali people. | How could West Bengal deport infiltrators from her lands? By bringing the Citizenship Act as well as NRC into force, and through the active resistance of the Bengali people. |
Shyamaprasad Mukhopadhyay, Acharya Jadunath Sarkar, Acharya Sunitikumar Chattopadhyaya, the scientists MeghnadSaha and Sisir Mitra, historian Rameshchandra Mazumdar, and various other learned men of Bengal wanted freedom from Islamist persecution and a homeland for free-thinking Hindu Bengalis. That homeland is West Bengal. They knew, that Hindus cannot practice their own religion and culture, and preserve the dignity of their women in a Muslim-majority undivided Bengal. They were one hundred percent accurate, and that is evident through the arrival of thousands of Hindu refugees from East Pakistan, and later from Bangladesh. The 29% Hindu of the total population of Bangladesh in 1947 has now come down to 7%. What is astonishing here is that with complete disregard to arithmetic, the 19% Muslim of the total population of West Bengal in 1951, has now multiplied to nearly 30%, despite thousands of Hindus arriving from outside frequently. This Jihadist force today is ready to engulf West Bengal. Whenever it has been resisted through democratic and constitutional means, the Jihadists come out on streets rallying in the same way they had rallied for the creation of Pakistan. It is our misfortune that the reigning political party at the state is working in cahoots with the Jihadist force in order to hold onto their position of power. Just for the sake of opposing the BJP, parties like the CPI(M) and the Congress too are supporting this Jihadist force.
Isolated incidents of attack, vandalism, and violence against women were committed on various occassions. Bantala, Dhantala, Taslima Nasrin deportation, Deganga, Rajabazar Tram Depot, Naliakhali, Kulpi, Kamduni, Dhulagarh, Basirhat, Kaliachak – the list is too long. But the incident which trumped everything else this time, is not some isolated incidence, but this state-wide massive Jihadist rampage going on at a three day stretch. After all these days of savoring success at these isolated incidents, a backlash has finally come to Islamists in the form of Citizenship Act and NRC. When this backlash has arrived on the scene, the Jihadist force has manifested in its true Pakistani character.
Forget not that you are never safe. Even if you live in an apparently safe neighborhood, you are not safe. Exactly 6 months ago before the above-mentioned incidents took place, on the evening of 10th June 2019, a 75 year old and ailing Muslim elderly person had died at Nilratan Sircar Medical College. His relatives had physically assaulted hospital staff including female doctors. Apprehending more trouble, doctors called up the Entally police station, requesting for safety. At 10 pm in the night, a Muslim mob of 200 people came in a truck from Tiljala, located a few kilometers away, and recklessly beat up the doctors and hospital staff. Two doctors had to be admitted to the Intensive Care Unit. Despite knowing everything, the police remained inactive. Even later, only for an eyewash, a handful of the patient’s relatives were arrested. That means, no matter where you are, a Muslim mob of 200 miscreants can arrive at your doorstep in a truck, beat you and assault the women of your home with impunity. This is the West Bengal of today.
But as far as we are concerned, nothing has been forgotten, and nothing will be forgotten. Hence, we document this report so that each rioter can be appropriately brought to justice, so that we can appropriately discipline that society which is bringing up and nurturing Jihadist forces, drive away the politics of religious appeasement, identify every infiltrator, and bring back the West Bengal as dreamt by Shyamaprasad and the other great luminaries of Bengal.
If infiltrators are not resisted now, the West Bengal of tomorrow will be West Bangladesh. Are you ready to become a refugee again?
The End
C: Mohit Ray and Sujit Sikdar