প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এমন জল্পনা ছড়াতেই বিভ্রান্ত মেঘালয়ের মুকুল সাংমা-সহ মেঘালয়ের ১২ তৃণমূল নেতা। আসলে প্রশান্ত কিশোরের কথাতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এখন পিকে-ই কংগ্রেসে যোগ দিতে চলায় তাঁরাও ফের হাত শিবিরে ফিরতে চলেছেন। সূত্র মারফত এমন খবরই মিলেছে।
মেঘালয়ে তৃণমূল ভোটে লড়েনি। ফলে, তাদের শক্তি ছিল কংগ্রেস থেকে ভাঙিয়ে আনা নেতারা। গতবছরের নভেম্বর মাসে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১২ জন বিধায়ক কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। ২০২৩ সালেই মেঘালয়ে ভোট রয়েছে। তার আগে এভাবে ১২ বিধায়ক দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তৃণমূলের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক ধাক্কা হতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ভোটের এক বছর আগে এভাবে ১২ জন বিধায়কই যদি শেষ পর্যন্ত ঘর ওয়াপসি করেন, তাহলে মেঘালয়ে তৃণমূলের কোমর পুরোটাই ভেঙে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। উল্লেখ্য, তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবে তথা বিরোধী নেত্রী হিসেবে গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলাদা কদর থাকলেও দলগত ভাবে ভিন রাজ্যে গিয়ে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারছে না তৃণমূল। তার উপর যদি সত্যিই মেঘালয়ের ১২ বিধায়ক কংগ্রেসে ফিরে যান, তাহলে সেখানেও কার্যত আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে তৃণমূলকে।
তবে তৃণমূলের সঙ্গে যে মেঘালয়ের ওই ১২ নেতার সম্পর্ক খুব একটা ভাল যাচ্ছিল না, এমন গুঞ্জন বিগত বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। এমনটাও শোনা যাচ্ছিল, তাঁরা বিজেপির বন্ধু তথা মেঘালয়ের শাসক দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টিতেও যোগ দিতে পারেন। তবে এনপিপিতে যোগ দেওয়ার সেই জল্পনা নিজেই উড়িয়ে দিয়েছেন মুকুল সাংমা।