ভারতীয় সেনার মাথায় ফের সাফল্যের মুকুট। কমপক্ষে ১২ জন জঙ্গিকে গত ৭২ ঘন্টায় নিকেশ করেছে সেনা। রবিবার জম্মু কাশ্মীরের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দিলবাগ সিং (DGP Dilbag Singh) সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এই তথ্য জানান।
দিলবাগ সিং জানান, গত ৭২ ঘন্টায় .জম্মু কাশ্মীরের চারটি পৃথক পৃথক এলাকায় জঙ্গি নিকেশ অভিযান চালায় সেনা। সেই অপারেশনগুলিতেই কমপক্ষে ১২ জন জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। কাশ্মীরের বিজবেহেরা এলাকায় শেষ অপারেশন চলে। ১২ জঙ্গির মৃত্যুর খবর মেলে। বিজবেহেরা ছাড়াও অভিযান চলে ত্রাল, সোপিয়ান, হারিপোরা এলাকায়। ত্রাল ও সোপিয়ানে সাত জন, হারিপোরার অল বদরে তিন জন, বিজবেহেরাতে দুজন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, যে জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুজন টেরিটোরিয়াল আর্মির জওয়ান মহম্মদ সালেম আকুনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। শনিবার সালেমকে তাঁর বাড়ির সামনে খুন করে জঙ্গিরা।
শনিবার থেকেই অনন্তনাগ জেলায় এনকাউন্টার শুরু হয়। দক্ষিণ কাশ্মীরের এই জেলার বিজবেহরা এলাকার সেমথানে জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরে নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালায়৷ এরপরেই উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়। গত রাত থেকেই সেখানে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়াও সোপিয়ানে গুলির লড়াইয়ে নিহত জঙ্গিদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আসিফ আহমদ গণি ও ফয়সাল গুলজার চিত্রগমের বাসিন্দা, তৃতীয় উবাইদ আহমদ গণোপাড়ার বাসিন্দা। জঙ্গিদের কাছ থেকে একটি করে AK-56 রাইফেল এবং দুটি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার তিন জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা। তবে ভারতীয় সেনার চার জওয়ান আহত হন এই গুলির লড়াইয়ে। এরপরে আল কায়দা সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা আনসার গজওয়াত উল হিন্দকে সেনারা আটক করে। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে এই গজওয়াত উল হিন্দের।
জঙ্গি ও সেনাবাহিনীর এই গুলির লড়াইয়ে বৃহস্পতিবারও সারাদিন উত্তপ্ত ছিল উপত্যকা। দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দেয় জম্মু কাশ্মীর পুলিশ ও সেনার বিশেষ যৌথ টিম। জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে, এই খবর গোপন সূত্রে পায় যৌথ বাহিনী। তারপরেই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করে সেনা। আচমকা এক জঙ্গি গুলি চালাতে শুরু করে সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর ওপর। পালটা জবাব দেয় বাহিনীও। শুরু হয় গুলির লড়াই।