বেহিসেবি সম্পত্তি থাকার অভিযোগ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে, ১০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর বিভাগ।

মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ও তাঁর পরিবারে সঙ্গে বেহিসেবি সম্পত্তি রাখার অভিযোগ। মঙ্গলবার, এই অভিযোগেই ১০০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল আয়কর দফতর। সূত্র মারফত খবর মুম্বইয়ের পরিচিত নরিমান পয়েন্টের নির্মল টাওয়ার সহ পাঁচটি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে একটি চিনির কারখানা ও একটি রিসোর্টও বাজেয়াপ্ত করেছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা।

আয়কর দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অজিত পাওয়ার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই বেনামি সম্পত্তির মালিক। জানা গিয়েছে এই বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পর বেনামি সম্পত্তি রাখার অভিযোগ মামলা করতে চলেছে আয়কর দফতর। জানা গিয়েছে বেআইনিভাবে এই সম্পত্তি গুলি কেনা হয়েছিল। গত মাসেই বেনামি সম্পত্তির খোঁজে অজিত পাওয়ারের বোনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার জানিয়েছেন তাঁর সঙ্গে জড়িত সব সম্পত্তি উপযুক্ত আয়কর দিয়েই কেনা হয়েছে।

গত মাসেই সাংবাদিকদের ৬২ বছর বয়সী এই এনসিপি নেতা জানিয়েছিলেন “আমরা প্রত্যেক বছরের আয়কর জমা দিই। মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমি আরও বেশি মাত্রায় এই বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত। আমার সঙ্গে যুক্ত সব সম্পত্তিই যথাযথ আয়কর জমা দে্ওয়া রয়েছে।”

কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহারে অভিযোগ তুলে পাওয়ার বলেন “প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়েছিল। এখন তাঁর বাড়িতে আয়কর দফতর তল্লাশি চালাচ্ছে। এই বিষয়টি দুঃখজনক। শুধুমাত্র অজিত পাওয়ারের আত্মীয় হওয়া কারণেই যদি তাঁদের বাড়িতে হানা দেওয়া হয় তবে মনে করতে হবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।” নিজের ভাইপোর বাড়িতে এই ধরনের তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারও বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। এই ধরনের ঘটনায় ক্ষমতার অপব্যবহারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
শরদ পাওয়ারে মতে উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে ৮ জনকে গাড়ি চাপা দিয়ে মারার ঘটনায় সরব হয়েছিলেন অজিত, তাই প্রতিহিংসা থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গতমাসেই শরদ পাওয়ার জানিয়েছিলেন, “এই ধরনের অযাচিত অতিথিদদেরকে আমরা ভয় পাইনা। আপনাদের মনে থাকবে ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে আমাকে নোটিশ দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যদিও কোনও কালেই আমি ব্যাঙ্ক থেকে কোনও ঋণ নিইনি। তারা আমাকে নোটিশ দিয়েছে আর তারপরেই মহারাষ্ট্রের জনতা তাদের উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে। ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.