‘ডিম না খেলে ১০০ টাকা ফাইন’, জোরাজুরি চার্চের সিস্টারদের, খেয়েই অসুস্থ জনজাতি পড়ুয়ারা

খাবার খেয়ে অসুস্থ ১৯ জন আদিবাসী পড়ুয়া। বর্তমানে এরা প্রত্যেকেই ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। এই হাসপাতালে সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তারা বর্তমানে প্রত্যেকেই আগের তুলনায় কিছুটা ভালো রয়েছে। সূত্র মারফত খবর, গত রবিবার দুপুরে ওই আদিবাসী পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া হয় ডন বসকো চার্চে। খাবার খাওয়ার পর থেকেই তারা ক্রমশ অসুস্থ হতে থাকে। এরপর তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় মহম্মদ বাজারের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূমের মহম্মদ বাজারে ডন বসকো চার্চে।

জানা যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ অসুস্থতা বাড়তে থাকে তাদের। পড়ুয়ারা জানায়, তাদের প্রত্যেকেরই পেট ব্যথা করতে শুরু করে দুপুরের খাওয়ার পর। এই প্রসঙ্গে আদিবাসী এক পড়ুয়া জানিয়েছেন, ”ডিম খাওয়ার পর থেকে পেট ব্যথা করতে শুরু করে। তখনই আমরা সিস্টারদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু সিস্টার শোনেননি। শেষ পর্যন্ত বোর্ডিংয়ের বড় দিদিরা আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে। সকালেও বমি করেছি। এখন কিছুটা ভালো লাগছে।”
খবর পাওয়া গিয়েছে, পড়ুয়াদের খাবার খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ডিম খাওয়ার জন্যও জোর দেওয়া হয়। বলা হয়, যদি কেউ ডিম না খায় তাহলে ১০০ টাকা ফাইন করা হবে। পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তে ছুটে আসেন তাদের অভিভাবকেরা। এক অভিভাবক জানিয়েছেন, ”ওদের ভাত, ডিম দিয়েছিল দুপুরে। ওরা সিস্টারকে বলেছিল, এই ডিমটা নষ্ট। খাব না। কিন্তু সিস্টার বলেছে, খেতে হবে। না খেলে তো হবে না। ওরা ডিমটা খেয়ে নিয়েছে। তারপর এক ঘণ্টা পর ওদের পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর ওদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।”

তিনি আরও জানান, ”অসুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে আসি। আমার মেয়ে তো পুরোপুরি অজ্ঞান হয়েই ছিল। এখন কিছুটা হলেও ভালো আছে। তবে পেটে ব্যথা কমেনি।” এদিকে ঘটনাকে ঘিরে চার্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফাদার শান্তি সরেন জানান, ”পচা ডিমের জন্যই এই ঘটনাটি ঘটেছে। আমাদের তরফ থেকে অসুস্থ পড়ুয়াদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সারা রাত আমাদের মেয়েরা অসুস্থ পড়ুয়াদের পাশে ছিল। অভিভাবকদেরও জানানো হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.