যে গ্যাংস্টারেরা দিনের পর দিন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, জনতাকে ধমকেছে, শাসিয়েছে, অপহরণ করেছে, খুন করেছে, কোনওদিন আইনকে পাত্তা দেয়নি আজ তারাই ভয়ে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলছে। তাঁর সরকারের আমলে উত্তরপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের কী হাল হয়েছে সেটা বোঝাতে এক অনুষ্ঠানে এই উদাহরণ দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
একটি কারখানার উদ্বোধনে গোরখপুরে যান যোগী। সেখানে গিয়ে রাজ্যের দুষ্কৃতিদের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পরই যোগী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দুষ্কৃতী দমনে তাক্বর সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে। আর তারপর থেকে একের পর এক দুষ্কৃতি গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু দুষ্কৃতির মৃত্যুও হয়েছে। যোগী বলেন, “আজ রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছে দুষ্কৃতীদের কী অবস্থা। যে সব মাফিয়া তাদের ধমকা তো, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিদের কাছ থেকে জোর করে তোলা আদায় করত, অপহরণ করতো, আদালত সাজা দেওয়ার পর তারাই এখন প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলছে।
যোগী আরও বলেন, যারা এতদিন ধরে সাধারন মানুষকে ভয় দেখাতে জীবন কেড়ে নিতো এখন তাদের নিজেদের জীবন ভিক্ষা চাইছে। আসলে নাম না করে যোগী এদিন উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আতিক আহমেদের কথা বলতে চেয়েছেন। ২০০৬ সালে উমেশ পাল অপহরণ মামলায় সম্প্রতি আতিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এরপরই সে আশঙ্কা প্রকাশ করে আদালতে আর্জি জানিয়েছেন তাকে এনকাউন্টার করতে পারে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
রাজ্যের দুষ্কৃতীর এখন কী অবস্থা সেই উদাহরণ তুলে ধরে রাজ্যের বাকি দুষ্কৃতিদের প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির বার্তা দিয়েছেন যোগী। তাঁর ইঙ্গিত, আতিকের যদি এই হাল হয়, তাহলে বাকি দুষ্কৃতীদের কী হাল হবে? সেই হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ের একটি তথ্য বলছে, গত ৬ বছরের ১০ হাজার এনকাউন্টার হয়েছে উত্তরপ্রদেশে, তার মধ্যে ৬৩ জন দুষ্কৃতির মৃত্যু হয়েছে।