শীর্ষ আদালতে বড় জয় পেল মোদী সরকার। শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সংবিধান সংশোধনীকে বৈধ আখ্যা দিল সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দিল, এই নিয়ম সমাজে কোনও বৈষম্য তৈরি করছে না। তা সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থীও নয় বলে মত শীর্ষ আদালতের।
আর্থিক ভাবে অতিশয় পিছিয়ে পড়া তথা হতদরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থার পক্ষে বরাবরই ছিল সঙ্ঘ পরিবার। সঙ্ঘের বর্তমান সরসঙ্ঘচালক মোহন ভগবত অতীতে বারবার এই দাবি তুলেছেন বা প্রস্তাব দিয়েছেন। মূলত আরএসএসের চাপেই কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবিধান সংশোধন করে হতদরিদ্রদের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল।
সরকারের সেই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালত এদিন জানিয়েছে, সমাজে পিছিয়ে পড়াদের ক্ষমতায়নের একটা মাধ্যম হল সংরক্ষণ ব্যবস্থা। হত দরিদ্রদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে তা সংবিধানের মূল কাঠামোয় কোনও ভাবে আঘাত করে না বা তা পরিপন্থী হতে পারে না। কারণ দেশের সংবিধান সমাজের কাউকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলে না। সবাইকে নিয়ে চলার কথাই বলে। তা ছাড়া আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের যেভাবে সংরক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি পদ সংরক্ষিত হবে না। সুতরাং এতে অসুবিধা কিছু নেই। প্রধান বিচারপতি ললিত আগামীকাল অবসর নেবেন। আজ সুপ্রিম কোর্ট যে রায়ই দিত ধরেই নেওয়া হয়েছিল তা হবে ঐতিহাসিক।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বড় জয়৷ বিশেষত, হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাত নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিজেপি-র প্রচারে বড় অস্ত্র হয়ে উঠবে, তা নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায়৷