ভারতের সংবিধানে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয় তাতে প্রতিটা ভারতীয় নাগরিকের ভোট দেওয়া একটা বড় কর্তব্য। বহুদিন আগেই খুব সুপরিকল্পিত ভাবেই নোটা নিয়ে বড় একটা প্রচার করা হয়। অর্থাৎ কোনো কেন্দ্রে যদি একজন বা একের অধিক নাগরিকের মনে হয় যে প্রার্থী তাদের পছন্দের নয় তাহলে তারা তাদের মূল্যবান ভোট নোটাতে দিতে পারবে। একটি কেন্দ্রে খুব স্বাভাবিক ভাবেই একের অধিক প্রার্থী থাকে বিভিন্ন দলের হয়ে।মনে করা যাক একটা কেন্দ্রে মোট ভোটার ১০০০, এখন সেই কেন্দ্রে প্রার্থী আছে ৪জন। এরপর সেই ১০০০ টি ভোট যদি প্রতিটা প্রার্থী পেয়ে থাকে থাকেন। তাহলে সেই ১০০০ টা ভোট থেকেই একজন প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হবে, যখন একজন প্রার্থী বেশি পাবেন।।হয়ত একজন পেলেন ৪০০, বাকি ২ জন হয়ত ১৫০ করে ভোট পেলেন এবং একজন পেলেন ৩০০ ভোট। এখানে যে প্রার্থী সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছেন সে অর্থাৎ ৪০০ ভোট যে প্রার্থী পেয়েছেন তিনি জয়ী।এবার যদি দেখা যায় এই ১০০০ এর মধ্যে ২০০ জন ভোট দেবেন না এই প্রার্থীদের। সেক্ষেত্রে তারা নোটাতেই ভোট দেবেন।এরপর বাকি ৮০০ ভোট থেকে গণনা করে ঠিক করা হবে কোন প্রার্থী জয়ী।কিন্তু এই প্রচার সর্বত্র করা হচ্ছে না। ঠিক যেভাবে বর্তমানে ভোট বয়কট করার নামে জনগন বা ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে কিছু লোকাল প্রভাবশালী মানুষদের দিয়ে।
এই এলাকা গুলিও কিন্তু খুব আশ্চর্যের। উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, নদীয়া, দুই ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ।শুধু যে এই জেলা গুলোতে সম্পূর্ন ভাবেই করা হচ্ছে তা নয়। কিছু হিন্দু সংখ্যাধিক্য গ্রাম এলাকাতেই এটা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যের শাসক ঘনিষ্ট মানুষ, আরবান নক্সাল ,মাওবাদী এবং জামাত গোষ্ঠীর লোকজন। আসলে আজকের দিনে বঙ্গে যখন হিন্দুত্ববাদ শক্তিশালী হচ্ছে, হিন্দু কখন সংগঠিত হচ্ছে তখন এইসব বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন বা শক্তির কাছে সেটা ভয়ে কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠিক সেই কারণেই তারা এখন নরম ভাবে তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাতে এই সব গ্রামের বা এলাকার মানুষ ভোট বয়কটের আহ্বানে সারা দিয়ে ভোট দান থেকে বিরত থাকে। কারণ হিন্দু যদি ভোট না দিয়ে বাড়িতে থাকে তাহলে অন্য সম্প্রদায় ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের কাওকে জিতিয়ে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবে আরো সহজ ভাবে। পরবর্তী কালে হিন্দুদের ওপরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সহজ হবে। বাংলা আবার ভাগ করতে সুবিধা হবে। কারণ এই জেলা গুলোর প্রতিটা হল সীমান্ত লাগোয়া। প্রতিটা জেলা আজকের দিনেই হিন্দু কম হবার কারণে চরম ভাবে ভারত ভাগের দিকে এগিয়ে গেছে। আলাদা জমি দখল করে আবার এলাদা রাষ্ট্রের দাবিতে শক্তিশালী হচ্ছে। দিনের পর দিন জনসংখ্যার তারতম্য এই জেলা গুলোকে প্রচুর অসামাজিক কাজের ঘাঁটি তৈরি করে ফেলেছে।তাই আজকের দিনে হিন্দু যখন জোটবদ্ধ হচ্ছে এই দেশ বিরোধী শক্তির গুলোর বিরুদ্ধে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার দিকে হিন্দু যখন সংঘ বদ্ধ হচ্ছে ঠিক তখনি এইভাবে প্রভাবিত করে হিন্দুদের ভোট দেওয়া থেকে দূরে করার একটা বড় প্রচেষ্টা চলছে।
✍️ পিউ