হাতির সাথে একটা ছোট মুরগীও ফ্রীতে দেয়

এক জার্মান স্টুডেন্ট কমিউনিস্ট শাসিত সোভিয়েত ইউনিয়নে বেড়াতে গেছে। সেখানে সব খাবার জিনিসের দাম বেশী। সে একদিন তার ভাইকে চিঠিতে লিখল যে এখানে সব জিনিসের দাম বেজায় চড়া, একটা ছোট মুরগীর দাম পর্য্যন্ত একশ রুবল।

চিঠি পাঠানোর তিন চার দিন পরেই বাড়িতে পুলিশের আগমন। চিঠি সেন্সরে আটকে গেছে। কমিউনিস্ট রাশিয়ার বদনাম হয় এরকম কিছু লেখা যাবে না। আমাদের জার্মান স্টুডেন্ট টি তো হতবাক। সে পুলিশকে শুধোলো – আপনিও তো জানেন যে ছোট মুরগীগুলো একশ রুবল করে বিক্রী হচ্ছ, আমি মিথ্যেটা কি লিখলাম? পুলিশ মাথা চুলকে বলল, একটা হিন্ট দিচ্ছি, সত্যটাকে ঘুরিয়ে লিখতে পার, কেউ কিছু বলবে না।

এরপর ছেলেটি চিঠিতে লিখল – সোভিয়েত রাশিয়ার সব কিছুই খুব সস্তা। একশ রুবলে এখানে একটা বিরাট হাতি পাওয়া যায়, আর হাতির সাথে একটা ছোট মুরগীও ফ্রীতে দেয়!

এরপর আসি ভারতবর্ষের কথায়। মোগল আমলে বড়সড় স্থাপত্য বা উপাসনা স্থল যা তৈরি হয়েছিল, প্রায় সবার নিচেই একটা করে মন্দিরও খুঁড়ে পাওয়া যাচ্ছে।

কি বুঝলেন? না আপনি যা ভাবছেন মোটেও তা নয়। এর থেকে একটা জিনিস পরিষ্কার। সেই সময়ে তেনারা ভূগর্ভ স্থাপত্যে এতটাই উন্নতি করেছিলেন যে, যেখানেই নিজেদের উপাসনাস্থল বানিয়েছেন, তার নিচে একটা করে মন্দিরও তৈরি করে দিয়েছেন! শুধু আন্ডারগ্রাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ এলেম ছিল তাই শুধু নয়, বিশাল রকমের উদারও ছিলেন তেনারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.