৩৭০ ধারা অবলুপ্তি দিয়ে শুরু করে একের পর এক চমক রয়েছে কাশ্মীরের জন্য। সামনেই ১৫ ই আগস্ট, দেশের স্বাধীনতা দিবস। ঠিক তার আগে জম্মু ও কাশ্মীরের গুলমার্গে ১০০ ফুট উঁচুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছে ভারতীয় সেনা। আর এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে পাকিস্তান। আসলে পাকিস্তান জম্মু কাশ্মীরকে বিতর্কে রাখার সমস্ত রকম প্রয়াস চালায়। তবে ভারতের পদক্ষেপ পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রের জল ঢালার কাজ করেছে।
কারণ কাশ্মীরের গুলমার্গে এত বিশাল উচ্চতায় জাতীয় পতাকার উত্তলোন নিঃসন্দেহে পর্যটকদের আকর্ষণ করবে। যা রীতিমতো পাকিস্তানের মাথা ব্যাথার কারণ। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ উদযাপনের অংশ হিসেবে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর। সেনার তরফে উত্তোলিত পতাকা জম্মু ও কাশ্মীরে সবথেকে উঁচুতে উত্তোলিত হওয়া জাতীয় পতাকা।
মঙ্গলবার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নর্দান কমান্ডের লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াই কে জোশী। সেখানে হুতাত্মা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে তিনি জানান, কাশ্মীরি জনগণকে শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছে। যাঁরা ভারতের অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বিষয়ক মুখপাত্র এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ১০০ ফুট উঁচুতে জাতীয় পতাকা দেখার জন্য পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তাৎপর্যপূর্ণভাবে গুলমার্গ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, যে রাস্তা দিয়ে ১৯৫৫ সালে অনুপ্রবেশ করেছিল পাকিস্তানি সেনা। মহম্মদ দিন সে বিষয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলেন। তারপর পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী।
গত ৪ আগস্ট ভারতীয় সেনার চিনার কর্পসের তরফে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়। সেই পোস্টে লেখা হয়েছিল, একটাই পতাকা, একটাই ভূখণ্ড. একটাই হৃদয়, একটাই হাত। গুলমার্গে উত্তোলিত সবচেয়ে উঁচু জাতীয় পতাকাকে স্বাগত জানাতে তৈরি সমগ্র কাশ্মীর উপত্যকা। শীঘ্রই গুলমার্গের সীমানা জাতীয় পতাকার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করবে। যে এলাকা ধীরে ধীরে পর্যটকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পতাকা উত্তোলনের ভিডিও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে