মানুষ রিটায়ার মন থেকে হয়, শরীর থেকে না। সংকল্প দৃঢ় থাকলে কোন কাজই মুশকিল না। আর এই প্রেরণা পাওয়া যায় ভারতীয় সেনার প্রাক্তন জওয়ান সুবেদার মোহম্মদ ইলিয়াসের থেকে। মোহম্মদ ইলিয়াস সেনা থেকে রিটায়ার হওয়ার পরেও নিজের সাথী আর অনান্যদের জীবন বাঁচিয়ে আসছেন। সেনার জেকলাই ইউনিট থেকে রিটায়ার হওয়া সুবেদার মোহম্মদ ইলিয়াস আজও দেশের সেবা থেকে পিছু হটছে না। চাকরীর সময় সেনা আর জেকলাই ইউনিটের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন, কিন্তু এখন রিটায়ার হওয়ার পর নিজের কাজ জারি রেখেছেন তিনি। ওনার এই কাজ এটাই বোঝায় যে, সেনার জওয়ান কখনো ছুটি নেয়না।
চাকরীর সময় ইলিয়াস দুটি সেনা পদক সমেত সাতটি পদক দিয়ে সন্মানিত করা হয়েছিল, এই সন্মান ওনার সাহস আর কর্তব্যের প্রতি ওনার নিষ্ঠার জন্য ছিল। মোহম্মদ ইলিয়াসকে ‘অ্যাভালাঞ্চ ম্যান” এর নামে ডাকা হয়। কাশ্মীরে বরফের পাহাড়ে যখনই ধ্বস নামে, তখনই অ্যাভালাঞ্চ ম্যান ইলিয়াসকে সাহাজ্যের জন্য ডাকা হয়। ইলিয়াস সেনা থেকে অবসর নিয়েছেন, কিন্তু নিজের কর্তব্য থেকে না।
তিন ডিসেম্বর যখন কুপওয়ারায় নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে তংধার সেক্টরে ভারতীয় সেনার ঈগল পোস্টে তুষার ধ্বস হয়েছিল আর তাঁর নীচে চার সৈনিক চাপা পড়েছিল, তখন মোহম্মদ ইলিয়াস সেবা করার জন্য সেখানে ছুটে যান আর সেখানে বরফের তলায় চাপা পড়ে থাকা চার জওয়ানকে জীবন্ত উদ্ধার করার জন্য উদ্ধার দলের সাহাজ্য করেন। ইলিয়াস সেনা আর নাগরিকদের জীবন বাঁচানোর জন্য একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত। ইলিয়াস বরফে চাপা পড়ে থাকা ব্যাক্তিদের উদ্ধার আর তারপর তাঁদের সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্পেশ্যাল ট্রেনিং প্রাপ্ত।
মোহম্মদ ইলিয়াস জানান, আমি স্পেশ্যাল ট্রেনিং প্রাপ্ত। আর এরজন্য যদি কারোর সুবিধা হয় আর জীবন বাঁচে তাহলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কারোর কাছে কোন কাজের স্পেশ্যাল ট্রেনিং থাকলে সেটা মানুষের সুবিধার জন্য ব্যাবহার করা উচিৎ। সংকল্প দৃঢ় হলে কোন কাজই মুশকিল না। কাজ করে যেতে থাকলে বয়সের ছাপ পড়েনা। মানুষ মনের দিক থেকে অবসর নেয়, শরীরের দিক থেকে না।