ভারত আগেই জানিয়েছে আফগানিস্থানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করায় অগ্রাধিকার। পরে কেন্দ্র আবার জানায় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা আফগানদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি যত্ন সহকারে দেখা হবে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু আফগান নাগরিক ভারতে এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে আফগান নাগরিকদের শরণার্থীর তকমা দেবে না ভারত।
বাগচী জানান, আফগানিস্থান থেকে আসা নাগরিকদের এখনই শরণার্থী তকমা নয়। তাদের আপাতত ছয় মাসের ভিসা দেওয়া হবে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১৫ আগস্ট তালিবান জঙ্গিদের কাবুল দখলের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে যায় আফগানিস্থানে আবার শুরু হতে চলেছে তালিবানি শাসন। আর এই পরিস্থিতি দেখেই ওই দেশ থেকে পালাতে শুরু করে হাজার হাজার আফগান।
ভারত যে আফগানদের পাশে আছে তা প্রথম থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতেও দেখা গিয়েছে, অরিন্দম বাগচী বলেছেন, “আফগানিস্থানের পরিস্থিতি রীতিমতো অনিশ্চিত। প্রাথমিক গুরুত্ব তাই নাগরিকদের নিরাপত্তা উপরেই। এই মুহূর্তে এটা পরিস্কার নয় যে কাবুলে কারা সরকার গঠন করছে। আমরা গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছি।” আফগানিস্থানে ঠিক কতজন ভারতীয় আটকে রয়েছেন তা এখনও ভারত জানতে পারিনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
একেবারে রাতারাতি হু হু করে আফগানিস্থান দখল করেছে তালিবান। আর তার সাথে ফিরেছে দু’দশক আগের অন্ধকারময় ভয়াবহ স্মৃতি। তাই সম্মান এবং প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছেন আফগানরা। প্রাণ বাঁচানোর আকুতি নিয়ে প্রতিদিন কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজার হাজার হাজার আফগান জড়ো হচ্ছেন। জল থেকে শুরু করে খাবার কোনোটাই নেই বিমানবন্দরে। খিদের জ্বালায় জ্বলছে আফগানিস্থানের মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ভিন্ন দেশে আশ্রয় নিতে চাইছেন আফগান নাগরিকরা। ভারতে ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন বহু আফগান। কিন্তু তাদের এক্ষুনি যে শরণার্থী তকমা দেওয়া হবে না তা স্পষ্ট করে দিলো ভারত।