রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের একজোট করতে দিল্লিতে পা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জোট বাঁধার আগেই ধাক্কা। মমতার ডাকা বৈঠক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল একাধিক রাজনৈতিক দল। সরে দাঁড়ালেন তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এ দিন তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন না। অন্যদিকে, আম আদমি পার্টি এবং বিজেডি-অ এই বৈঠক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সংসদ অধিবেশনের আগেই বিরোধীদের একজোট করার কাজে নেমেছিল কংগ্রেস। এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরই তৃণমূল কংগ্রেসও জাতীয় রাজনীতিতে পা রেখেছিল। দুই দলের মধ্যে মত পার্থক্যের জেরেই সেই সময় বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরেছিল। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন ও আগামী মাসেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকালই দিল্লি পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা থেকে সরাসরি দিল্লিতে পৌঁছেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অ-বিজেপি শাসিত ৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট ২২ টি রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
এদিকে, আমন্ত্রণ জানানোর পর থেকেই একের পর এক রাজনৈতিক দল বৈঠক থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। প্রথমেই সরে দাঁড়ান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর বদলে এ দিনের বৈঠকে যোগ দিতে পারেন সঞ্জয় রাউত। গতকাল সিপিআইএমের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের দলের কেউ এই বৈঠকে যোগ দেবেন না। এবার সরে দাঁড়াল আপ, টিআরএস এবং বিজেডি।