পাকিস্তান থেকে অত্যাচারিত হয়ে আসা সাত হিন্দু শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিত্ব দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

দেশজুড়ে নাগরিকতা আইন নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যে পাকিস্তানি হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকতা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে। আজ গুজরাটে সাত জন পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকতা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মসুখ মান্ডবিয় গুজরাটের কচ্ছ জেলায় আজ সাত পাকিস্তানি হিন্দুর হাতে নাগরিকতার প্রমাণপত্র তুলে দেন।

আজ যাদের হাতে ভারতের নাগরিকতার প্রমাণপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা পাকিস্তানে ধার্মিক কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে পালিয়ে এসেছিল। ধার্মিক কারণে অত্যাচারিত হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার মামলায় গুজরাট এখন দেশে এক নম্বর স্থান দখল করেছে। গুজরাটে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ পাকিস্তানি হিন্দু শরণার্থী বসবাস করে। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ১০০ জন মৌরবী, ১ হাজার জন্য রাজকোট, ৫০০ জন বনাসকান্ঠা আর ২৫০ জন কচ্ছের শরণার্থী শিবিরে আছেন। এছাড়াও গুজরাটের আরও কিছু জায়গায় পাকিস্তানের হিন্দুরা শরণার্থী শিবিরে আছেন।

একদিন আগেই পাকিস্তান (Pakistan) থেকে গুজরাটে আসা এক মহিলাকে ভারতের (India) নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা হাসিনা বেন দুই বছর আগে ভারতের নাগরিকতার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন, আর উনি গতকাল ভারতের নাগরিকতা পান।

প্রথম থেকেই ভারতে থাকা হাসিনা বেন ১৯৯৯ সালে বিয়ে করে পাকিস্তান চলে গেছিলেন। কিন্তু কিছু সময় পর ওনার স্বামীর মৃত্যু হয়, আর তিনি আবার ভারতে চলে আসেন। দুই বছর আগে তিনি ভারতের নাগরিকতার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। এবার ১৮ই ডিসেম্বর ২০১৯ সালে ওনাকে ভারতীয় নাগরিকতার প্রমাণপত্র দেওয়া হয়। গুজরাটের দ্বারকায় হাসিনা বেন ভারতীয় নাগরিকতার জন্য জেলা শাসককে চিঠি লিখেছিলেন। দ্বারকার জেলা শাসক ডঃ নরেন্দ্র কুমার হাসিনা বেনের হাতে ভারতীয় নাগরিকতার প্রমাণপত্র তুলে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.