প্রাচীন সময় থেকে ভারতকে (India) পুণ্যভূমি বলার পেছনে একটা বড়ো কারণ ছিল ভারতের মাটি, যেখানে ভেষজ উদ্ভিদ থেকে শুরু করে বড়ো উদ্ভিদ জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এই কারণে ভারতের বিশাল জনসংখ্যার পাশাপশি একটা বড়ো ক্ষেত্র সবুজ অরণ্য দ্বারা বিস্তারিত রয়েছে। যদিও ইংরেজ আমল থেকে শুরু হওয়া ব্যাপক হারে বন্য অঞ্চল নষ্ট হওয়ার দরুন ভারতকে বড়ো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে এখন একটা বড়ো খবর সামনে আসছে যা দেশবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে। বিগত দু বছরের মধ্যে দেশে ৫,১৮৮ বর্গ কিমি এলাকায় অরণ্য ক্ষেত্র বিস্তার হয়েছে। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকার ( prakash javadekar) সোমবার একটা রিপোর্ট পেশ করেছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে ৫,১৮৮ বর্গ কিমি এলাকায় অরণ্য ক্ষেত্র বিস্তার হয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, দেশের প্রত্যেক প্রান্তে এই বিস্তার হয়েছে। অর্থাৎ কোনো একটা বিশেষ প্রান্তে এর পরিবর্তে দেশের প্রত্যেক ক্ষেত্রে অরণ্যঅঞ্চলের বিস্তার হয়েছে। প্রকাশ জাভেদকার বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত দেশে ১৩ হাজার বর্গ কিমি বনক্ষেত্রের বৃদ্ধি হয়েছে।
উনি বলেছেন সঘন বনক্ষেত্র, মধ্যম বনক্ষেত্র ও বিরল বনক্ষেত্র তিনটি ক্ষেত্রেই গ্রাফ উপরে উঠেছে। সবুজায়নের ক্ষেত্রে চীন দেশও নিজের রিপোর্ট ভালো করেছে। তবে তিনটি ক্ষেত্রেই ভালো গ্রাফ করার মধ্যে একমাত্র ভারত দেশ রয়েছে। প্রকাশ জাবেদকর বলেছেন আমরা প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যকে জয় করার দিকে রয়েছি।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকার বলেছেন, আসাম ত্রিপুরা এলাকায় বন্যক্ষেত্রের পরিমান কমেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে আগুন লেগে বন্যক্ষেত্র নষ্ট হওয়ার ঘটনা ২০ শতাংশ কম হয়েছে। বনক্ষেত্রে ভারতের এই সাফল্যকে বেশ ভালো চোখে দেখছেন সাধারণ মানুষ। অনেকে এটার সাফল্যের ভাগ সরকারকেও দিয়েছে।