দুয়ারে কড়া নাড়়ছে শীত। অপেক্ষা আর কয়েকদিনের। শীত জাঁকিয়ে বসতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাড়ি জমাবে পরিযায়ী পাখির দল। তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে মাল শহর সংলগ্ন সোনগাছি চা-বাগানের নাকাটি ডিভিশনে বিশেষ শিবির আয়োজন হল মঙ্গলবার। স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মালবাজারের মাউন্টেন ট্রেকাস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই শিবিরের আয়োজন হয়। শুধু পরিযায়ী পাখিই নয়, স্থানীয় নীলকন্ঠ থেকে শুরু করে টিয়া, ধনেশ, পানকৌড়ি, বসন্তবৌরি, মাছরাঙ্গা সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে এদিনের শিবিরে।
তুলনামূলকভাবে শহরাঞ্চলে কমে গিয়েছে পাখির সংখ্যা। তবে, ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় এখনও একাধিক প্রজাতির পাখি নজরে আসে। শুধু তাই নয়, শীত জাঁকিয়ে বসতেই দলে দলে ভিড় জমাতে শুরু করে পরিযায়ী পাখিরা। গজলডোবা সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদী এবং বনাঞ্চলে দেখা মেলে এই পাখিদের। তবে, একদল অসাধু মানুষের উপদ্রবে পরিযায়ী পাখিরাও সংকটের মুখে। সেক্ষেত্রে পরিযায়ী পাখির দল ভিড় জমানোর আগেই সচেতনতা বৃদ্ধিতে শামিল হলেন মালবাজারের মাউন্টেন ট্রেকাস ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
ফাউন্ডেশনের অন্যতম কর্মকর্তা স্বরূপ মিত্র বলেন, ‘বর্তমান সময়ে চা বাগান থেকে শুরু করে খেতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। আর সেই কীটনাশকের প্রভাবে মৃত কীটপতঙ্গ খেয়ে বহু পাখি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেবিষয়টি বিশেষ নজরে রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও অনেকেই পরিযায়ী পাখিদের শিকার হিসেবে বেছে নেন। এবিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিই মূল লক্ষ্য।’