হারাম খেয়ে বাঁচা যাদের নীতি- তাদের বর্জন করুন
পরনির্ভশীলতা অভিশাপ- সবাই অনুভব করছে
করোনা (corona) পশ্চিমাদের (Western countries) জন্য অন্যরূপে আশীর্বাদ।
০১.যাতে ইন্ডিয়াতে(india) বেকার কমে ও ওষুধমুল্য সস্তা হয়, তাই বিদেশিরা অনেক ওষুধ ইন্ডিয়া তে প্রোডাকশন করে। নিজের দেশে প্রোডাকশন বন্ধ করেছে।এই সব ওষুধ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেনি! যে ওষুধ জেনেরিক নয়, সেই ওষুধ উৎপাদন করার বা ইম্পোর্ট করার লাইসেন্স যদি বিদেশিরা কেড়ে নেয়, মাকু ও অবিজেপি হারামখোর রা বেশিদিন বাঁচবে কি? কাজেই ইন্ডিয়া র উচিত ওষুধ সব দেশ কে দেয়া! আমরা সবাই সবার উপর নির্ভশীল : আমরা প্রত্যেকে সংখ্যালঘু।
০২. যদি IT কুলি ইন্ডিয়া থেকে না নিয়ে অন্য দেশ থেকে নেয়, যদি একটাও কম্পিউটার, মোবাইল পার্টস ইন্ডিয়া তে বিদেশিরা এক্সপোর্ট না করে, এরা কি দিয়ে ফেসবুকে ট্রাম্প নিন্দা করবে? যদি একটা অস্ত্র এক্সপোর্ট না করে, ইন্ডিয়া ৭ দিনে দখল হয়ে যাবে!
০৩. কাজেই প্রোডাকশন দ্রুত বাড়িয়ে বিশ্ব কে ম্যালেরিয়া র ওষুধ সরবরাহ করে বিদেশিদের মানুষ কে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করার মধ্যে ইন্ডিয়ার একটা বিশ্ব পাওয়ার , বিশ্বাসী, ভরসার দেশ হবার চেষ্টা করা উচিত! পশ্চিমা দেশ গুলো ওষুধ বানাবার ফর্মুলা ও মেশিন বানায়।এবার তারা নিজের দেশেই রোবট দিয়ে কম খরচে ওষুধ জামাকাপড় বানাবে।অন্য অতি প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।অতি এন্টিবায়োটিক খেয়ে যে ইন্ডিয়ান রা এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্ট হয়েছেন, তারা কিভাবে এরপর বাঁচবেন, ভাবুন। আপনাদের তো জ্ঞান, টাকা মেশিন নেই,যে নতুন কিছু আবিষ্কার করবেন। এরা EU বানিয়েছে, দরকার হলে খৃস্টান ইউনিয়ন বানাবে।ইন্ডিয়া, চীন বা ইসলামিক ইউনিয়ন ছাড়া মহা শান্তিতে বাঁচবে।এনার্জি তেও এরা আত্মনির্ভশীল হচ্ছে। গাড়ি চালাতে তেল বা ড্রাইভার এর দরকার হবেনা ৩ বছররের মধ্যে। আর খ্রিস্টান দের হাতেই তেল বেশি। রাশিয়া কিন্তু গোড়া খ্রিস্টান দেশ।
০৪. ইউরোপ কানাডা বা অস্ট্রেলিয়া বা সামাজিক ভাতা দেবার দেশ গুলো আজ বিদেশি দের মানে ইমিগ্র্যান্ট দের ঘৃণা করে. কারণ ম্যাক্স ইমিগ্র্যান্ট সুযোগ ও ক্ষমতা থাকলেও, নিজের আয়ে জীবন ধারণ করেনা। সামাজিক ভাতা যত বেশি সম্ভব নেবার জন্য, যত বেশি সম্ভব বাচ্চা বানায়, অন্যদিকে সরকার কে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করবে। আর এদের যেহেতু মনে একটু হলেও খোঁচা দেয়, তাই এরা গৃহহীন পরনির্ভর উপরালার জন্য দামি দামি প্রাসাদ বানিয়ে, নরকে দোজগে যেতে যাতে না হয়, সেই চেষ্টা করে যায়!
আমি নিজের জরিপে দেখেছি, যারা একবার জীবনে অন্যের টাকায় জীবন ধারণ করতে অভ্যস্ত হয়, তারা মানুষ হিসাবে খুব নিকৃষ্ট শ্রেণীর হয়। এদের নীতিবোধ থাকেনা, নিজেরা কাউকে দেয়না, খুব ভোগী হয়, অন্যায় দুর্নীতি ম্যানিপুলেশন বংশ পরম্পরায় করে যায়! আমি কিন্তু অসুস্থ বা কর্মক্ষমতা নেই, বা যারা চেষ্টা করেও কাজ পায়না, তাদের কে মিন করছিনা, তাদের কে সম্মানের সাথে বাঁচিয়ে রাখার দায় সবার।
দেশে যারা ঘুষ ( হারাম) খায় – নেতা, পুলিশ তোলাবাজ বা বা সরকারী কর্মী হোক- বংশ পরম্পরায় এরা হারাম খাবার নানা ফন্দি বের করে। এদের সাথে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক করলে তার কর্মফল বংশ পরম্পরায় ভুগতে হয় – যেমন মোগল বংশ। হারামখোর দের জীন বিষাক্ত। সব চেয়ে তুর্কি দোকানের খাবার হারাম। ধনে পাতা এনেছিলাম। ২ মাস পরেও নষ্ট হয়নি, এমন কেমিক্যাল দিয়েছে। হালাল প্রমান করতে, কষ্ট দিয়ে জীব হত্যা করে সেটা বাদ দিলাম, এদের মাংসের কোয়ালিটি ও খুব খারাপ। স্রেফ মসজিদ বানিয়ে ইমামদের হাত করে, মুসলিম দের তুর্কি দোকান থেকে অখাদ্য খাবার কিনতে ম্যানিপুলেট করে! মসজিদ হলো মুসলিম দের ব্যবসা চালাবার একটা বড় মার্কেটিং ইনস্ট্রুমেন্ট। আজকাল সব দেশে সব মসজিদের ইমাম রা উপায় থাকলে মুসলিম দের অমুসলিম দের থেকে কেনাকাটি করতে নিষেধ করেছে, এটা ১১.০৯.২০০১ থেকেই চলছে। সব বড় মুসলিম ব্যবসায়ী রা মসজিদের পৃষ্ঠপোষক! যেহেতু আমি মন্দিরে যাইনা , তাই মন্দিরের খবর রাখিনা! জার্মানি তে চার্চ খৃস্টান দের আয়ের উপর নির্ভর করেনা, ধর্ম কর আছে বলে, ব্যবসায়ী রা চার্চকে ইউজ করেনা! আর এই সব ফ্যাক্ট ফেসবুকের কারণে আজকাল সবাই জানে! এবার যদি মুসলিম দের থেকে জন্য অমুসলিম রা কেনাকাটি না করে, মুসলিম রা নিজের ক্ষমতায় বাঁচতে পারবে কি?
০৫. করোনার কারণে সব দেশ মহামারী তে ভুগছে। কারো পক্ষে অন্যকে সাহায্য করা সত্যিই কঠিন! কোনো মুসলিম দেশ কি অমুসলিম বা মুসলিম দেশ কে সাহায্য করেছে? যা সাহায্য করেছে অমুসলিম রা।
০৬.করোনা পৃথিবীর এতদিনের বিশ্বাস, ব্যবসা সিস্টেম কে নাড়া দিয়েছে! কে আপন কে পর বুঝিয়ে দিয়েছে! পশ্চিমারা এই শিক্ষা কাজে লাগাবে ! হারামখোর বিদেশী দের ঢুকতে না দিয়ে, বের করে দিয়ে, বিশ্বস্ত রোবট কে দিয়ে উৎপাদন বাড়াবে। পশ্চিমাদের জন্য করোনা আশীর্বাদ . বাকিদের জন্য করোনা অভিশাপ! যেভাবে স্প্যানিশ flu ১৯১৮ তে শুরু হয়ে ১৯২০ তে ২.৭-৫ কোটি লোকের জীবন নিয়েছে, তখন পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ১৮০ কোটি। করোনা কি করবে, বোঝা মুশকিল। তবে করোনা তে বেশি মরবেনা, সাইড ইফেক্ট এ মরবে- মানে না খেতে পেয়ে দুর্বল হয়ে, ইম্মিউন পাওয়ার হারিয়ে। করোনা র ইফেক্ট হতে পারে গৃহযুদ্ধ, ধর্মযুদ্ধ ও আঞ্চলিক যুদ্ধ। !
০৭. চীনের কি হবে? নানা লেখা যুক্তি পড়ে মনে হচ্ছে, করোনা ছড়াবার জন্য চীন দায়ী! WHO কে সঠিক সময়ে সঠিক খবর দেয়নি! চীন নিজে করোনা বানিয়ে ছড়িয়েছে কিনা, সেটা পরে জানা যাবে। ডাইরেক্ট ইফেক্ট হলো আজকের হিসাবে চীন ৩৫% ব্যবসা হারাবে! কারণ সব দেশ এখন নিজেরাই উৎপাদন বাড়াবে- ইম্পোর্ট নির্ভরতা কমাবে। আর করোনা মামলা হলে সেই মামলায় চীন হারবে , চীন ক্ষতিপূরণ কি করে দেবে? চীন ভেঙে যাবে! !তবে ভেঙে যাবার পূর্বে চীন মরণ কামড় দেবে। ২০২৬ এর মধ্যেই যুদ্ধ হবে ! কম নিষ্ঠ রা সুযোগ পেলে মহাধার্মিক হয়- রাশিয়া পোল্যান্ড বড় প্রমান। চীনের একটা বড় সমস্যা হলো, এরা গণতান্ত্রিক নিয়মে কোনোদিন বাঁচেনি রাশিয়ার মত। ফলে কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতা হারালে, চীনে দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধ হবার সুযোগ আছে!
০৮.করোনা একটা সুযোগ প্শ্চিমাদের জন্য! প্রত্যেক বিশ্বযুদ্ধ কে ব্যবসায়ী রা ইউজ করেছে- মানুষ নির্ভরতা কমাতে! যা আমি গত ১০ বছর ধরে বার বার বলেছি যে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হলেই রোবট সর্বত্র চালু হবে- মানুষ নির্ভরতা যথা সম্ভব কমানো হবে, উৎপাদন খরচ কমাবার জন্য।
মানুষ কাজ হারাবে। পশ্চিমা দেশে জন্মহার কম, কাজেই সরকার সামাজিক ভাতা দিয়ে সবাইকে বাঁচিয়ে রাখবে! কিন্তু ইন্ডিয়া বাংলদেশ বা তৃতীয় বিশ্বের কি হবে? আপনার কাজ থাকবে কি? আপনার পুরানো প্রাইভেট কার ফ্লাট কেনার ক্রেতা পাবেন তো, ভাড়া পাবেন কি ভাড়াটিয়ার থেকে না দখল হয়ে যাবে? ২ বছর পর পর নতুন আই ফোন কিনে দাম বাড়াতে পারবেন কি?
পেটে গামছা বেঁধে এখন থেকেই হাঁটার অভ্যাস করুন, মদ কোলা বিরিয়ানি না খেয়ে জল ভুষি আলা আটা রুটি খাবার অভ্যাস করুন।জল কম, ধান এর উত্পাদন কমে যাবে। মাংস মাছ সপ্তাহে একদিন খেয়ে বা পুরোপুরি ত্যাগ করে, বিনা পেস্টিসাইড এর নিরামিষ খান, খরচ কমবে, রোগ কম হবে, শরীর ভালো থাকবে। শস্যের দাম কমবে, সবাই পেট ভরে খেতে পারবে। যদি কাউকে মারতেই না চান, বডি বিল্ডার হবার কি দরকার? হাঁটুন বা দৌড়ান! “ফরেস্ট গাম্প” ফিল্ম টা দেখুন না হয়!
সেক্সের চাহিদা পূরণের জন্য মডার্ন সিস্টেম আসছে! যেভাবে পাড়ার বা বাড়ির লোকদের সাথে না মিশে ভার্চুয়াল মেলামেশা করেন, তেমন সুন্দর রোবট ডল নারী পুরুষ রা সেক্সের চাহিদা মেটাতে ব্যবহার করবে। বলিউড এর সুন্দরী সুন্দর মুখের অভিনেত্রী অভিনেতা রা সবার ঘরে থাকবে। আর ব্যাঙ্ক থেকে ডিসাইনার শুক্রাণু ডিম্বাণু নিয়ে বংশধর বানাবে। সংসার পেচাল ঝামেলা থেকে দিন দিন মানুষ মুক্ত হবে। পরকীয়া, ডিভোর্স এর ঝামেলায় আর মানুষ যাবেনা, কারণ আজকাল মানুষ লোভের ও বেশি চাহিদার কারণে বিশ্বাস ত্যাগ করেছে! মানুষের ফ্যামিলি নামের মধ্যেই “বিশ্বাস” শব্দ টা বেঁচে থাকবে। আপাতত আগামী ১০০ বছর এমন ধারা চলবে। যোগ ব্যায়াম ধ্যান ও ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। সাঁতার শিখুন। মন লোভ চাহিদা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
০৯. ইন্ডিয়া র উচিত নিজের স্বার্থে পশ্চিমা দের সাথেই মিলে মিশে দেয়া নেয়া করে চলা ও জনসংখ্যা রেডিক্যাল ভাবে কমিয়ে সব কিছুতে আত্মনির্ভশীল হওয়া। খ্রিস্টান ধর্মে প্রতিবেশীর জয়েন ত্যাগ আছে। যীশু একজন মহান ব্যক্তি। কাজেই খ্রিস্টান দের সাথে যৌথভাবে কাজ করলে হিন্দু ও খ্রিস্টান সবার লাভ! আর বৌদ্ধ ধর্ম হলো হিন্দু ধর্মের একটা শাখা! করোনা বিশ্বব্যাপী শিক্ষিত মানুষ কে হিন্দু নিয়মে বাঁচতে উদ্বুদ্ধ করবে! কারণ হিন্দু ধর্মের প্রচলিত সব নিয়ম সময়ের আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে চলতেই সৃষ্টি হয়েছে, যা সময়ের প্রয়োজনে পরবর্তন যোগ্য! মুসলিম রা অমুসলিম দের থেকে আলাদা থেকে শরিয়তি নিয়মে আগামী ১০০ বছর বাঁচুন, তারপর যেটা ভালো লাগবে, সেটাই করবে আপনাদের উত্তর পুরুষ রা। জিহাদ ও পরধর্ম বিনাশ এর চিন্তা বন্ধ করুন। সুখী হবেন।
১০. বর্তমান কঠিন সময়ে নিজে একা বাঁচার চেষ্টা না করে, অন্যদের বাঁচতেও সাহায্য করুন। আপনার খাবার শ্রম বিদ্যা বুদ্ধি ভাগ করুন! গরিব না থাকলে বড়লোকের কি মূল্য? বড়োলোক গিরি কাকে দেখাবেন ? অমুসলিম না থাকলে মুসলিম এর কি মূল্য? শত্রূ ভাববেন কাকে?
মৃণাল মজুমদার, বার্লিন, ০৮.০৪.২০২০